দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এই আপাতদৃষ্টিতে তাৎক্ষণিক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশা জেগে উঠেছে। 2017 সালের পরে এই প্রথমবারের মতো দলটির বড় সাম বুকের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা অনেকেই বলছেন রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেও জমজমাট একটি ঘটনা। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী
দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এই আপাতদৃষ্টিতে তাৎক্ষণিক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশা জেগে উঠেছে। 2017 সালের পরে এই প্রথমবারের মতো দলটির বড় সাম বুকের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা অনেকেই বলছেন রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেও জমজমাট একটি ঘটনা। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বাধাবিঘ্নে সম্মেলন কোনোভাবে আয়োজিত হয়নি, তবে এবার আন্দোলনের প্রতি নতুন সাহস ও সমর্থন নিয়ে প্রস্তুতি চলছিল। ইতিমধ্যে মঞ্চ নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে, যা জেলা বিএনপির নতুন উত্থানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সম্মেলনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে তা নির্ভর করছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তের উপর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সম্মেলনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন লাভ করেছিলেন, তাদের মধ্যে ৬ জন মনোয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এই সম্মেলনে সভাপতি পদে এক প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৮০৮ জন। সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা থাকবেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, আর উপস্থিত থাকবেন রংপুরের তিন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যে কেউ আসুক না কেন, মির্জা ফখরুলের নির্দেশেই এগিয়ে যাবে দল। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আশা করছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে। তারা মনে করেন, এই সম্মেলন থেকে আসবে কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব। তবে দলের উপর মহাসচিবের নির্দেশের প্রতি অটল থাকবেন সবাই, এবং পদ-পদবির দখল বা পরিবর্তনের আশা করছে দলের সবাই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং আগামী দিনগুলোতে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং সফল সম্মেলন আয়োজনের আশা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম আশ্বাস দিয়েছেন, সম্মেলন নিরাপত্তার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনী থাকবে সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তায়।