নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দেশের অনুমিত নেতৃত্বের খোঁজ চলছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি বর্তমানে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ব্যাপকভাবে ‘জেন জি’ বিক্ষোভকারীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে তার নাম উঠে আসেছে। সোমবার কাঠমাণ্ডু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর নিশ্চিত করে। সেনাবাহিনী পরিচালিত এক সূত্র জানিয়েছে, সেনারা দেশের শান্তি ও
নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দেশের অনুমিত নেতৃত্বের খোঁজ চলছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি বর্তমানে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ব্যাপকভাবে ‘জেন জি’ বিক্ষোভকারীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে তার নাম উঠে আসেছে। সোমবার কাঠমাণ্ডু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর নিশ্চিত করে।
সেনাবাহিনী পরিচালিত এক সূত্র জানিয়েছে, সেনারা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল উল্লেখ্য করেছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডার ও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন। তবে তিনি আন্দোলনের সংগঠনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
নেপালের ৩ কোটি মানুষের এই পাহাড়ি দেশে গত মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। পাশাপাশি, সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকা সুশীলা কার্কির নাম এখন জোর গুঞ্জন। রক্ষা বাম নামক একজন নেতা এএফপিকে জানিয়েছেন, এখনো প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় হয়েছেন, তবে প্রথম সারিতে রয়েছে কার্কির নাম। তিনি আরো বলেছে, “সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আমরা কিভাবে দেশকে উন্নতির পথে বইতে পারি সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।”
৭৩ বছর বয়সী এই প্রথম নারী তরুণ এই বিশিষ্ট বিচারপতি বলেছেন, “সংসদ এখনও বৈধ রয়েছে। সকলের অংশগ্রহণে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন নেতা একত্রিত হচ্ছেন।”
তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে এই পছন্দ সব পক্ষের সমর্থন পায়নি। অনেকের মধ্যে পারস্পরিক বিভাজন দেখা গেছে, এবং বিভিন্ন দলে ভিন্নমত ও প্রস্তাব উঠে এসেছে। ভার্চুয়াল এক সভায় হাজারো তরুণ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও দলের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হন।
সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, “আন্দোলনে বিভাজন রয়েছে। স্বার্থ ও মতবিরোধ থাকাটাই স্বাভাবিক।”
রাজধানী কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সেনা টহল দিচ্ছে। যদিও শহর শান্ত থাকলেও বিভিন্ন স্থানে সেনা চেকপোস্ট ও চৌকি স্থাপন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে রাজধানীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বড় আকার নেয়। সরকারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে এই বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অভিযান চালায়, যেখানে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু ঘটে।