রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাটের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রনেল চাকমা। তিনি বলেন,
রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাটের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রনেল চাকমা। তিনি বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬টি গেট খুলে দেওয়ার কারণে নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে এই নৌরুটে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার সকালে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য। সেই সময় চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবুর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, এ নৌরুটে প্রাকৃতিক কারণেও প্রায়শই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ। তিনি আরও বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি বহু দিন ধরে চলে আসছে, যদি সেতু তৈরি হয় তবে জনদুর্ভোগ কমে যাবে।
ফেরিঘাটে কথা হয় মোটরসাইকেল আরোহী মো: শহীদুল ইসলাম, মো: সরফুল আলম ও সুকুমার বড়ুয়ার সাথে। তারা জানান, ওপারে যাওয়ার জন্য এসে দেখেন ফেরি চলাচল বন্ধ। তাদের অভিযোগ, সেতু থাকলে তাদের কষ্ট অনেকটাই কমত।
এছাড়াও, বাস চালক মো: শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি চালক মো: আরিফ, বিপণন কর্মী মো: নুরনবী ও যাত্রী মো: ওমর ফারুক সামিল হন। তারা বলেন, সকাল থেকে এসে দেখছি ফেরি বন্ধ। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি ছাড়ার কারণে নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান ও চালক মো: সিরাজ জানান, কেন্দ্র থেকে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে খুব দ্রুত স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাত ৩টার পর থেকে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, যদি স্রোত কমে আসে, তবে ফেরি চালানোর আবার চেষ্টা করবেন তারা।