আজ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এটি উপলক্ষে বিএনপি নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন। এই দিনটিকে স্মরণ করে দলটি তার প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের এই দিনে, শহীদ জিয়াউর রহমানের

আজ ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এটি উপলক্ষে বিএনপি নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন। এই দিনটিকে স্মরণ করে দলটি তার প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের এই দিনে, শহীদ জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। তিনি ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

১৯৭৮ সালের এই দিনে ঢাকায় জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু হয়, যা দ্রুতই দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সময় জিয়াউর রহমান শহীদ হন। এরপর দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা চড়াই-উৎরাই পার করে ১৯৮৩ সালে তারই স্ত্রী, খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দলের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান, যিনি দীর্ঘ সময় থেকে লন্ডনে অবস্থান করে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি দলের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিতে সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর, বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বামী, শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এতে অংশ নিবেন দলের মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একাধিক জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল তারেক রহমানের দেওয়া এক বাণীতে বলা হয়, বর্তমান দলটির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের অধিকার রক্ষা, দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৮ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার প্রেরণার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতীক।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর দলের ওপর একনায়কশাসন চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা গণতন্ত্রকে হত্যা করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দলটি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, একুশে শতকে বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ পরিচালনা করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের জন্য নিবেদিত এক দল, যারা দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে নানা চক্রান্তের মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত দশকে ৯ বছরব্যাপী সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দলের নেতৃত্বজনক ভূমিকা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। সেই সময় তারা আধুনিক গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যান।

বিএনপি গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক সামর্থ্য বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তারেক রহমান আশা ব্যক্ত করেন, জনগণের আস্থা ধরে রেখে দলটি দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে থাকবে। তিনি সকল শহীদ নেতাকর্মীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আইন, সংবাদ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হবে।

তারেক রহমান বিশেষ করে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দমনেও জোর দেন। এই দিনটি ন্যায়ের বিজয় ও গণতন্ত্রের অঙ্গীকার স্মরণ করিয়ে দেয়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos