বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সরকার ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা ও দাবি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি সরকারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সরকার ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা ও দাবি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি সরকারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক হবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি জনগণের সমর্থন পায়, তাহলে প্রথম দিন থেকেই তারা মানুষের পাশে থাকবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগে দেশের অর্থনীতি কিছু চিগ্র গোষ্ঠীর হাতে ছিল, কিন্তু এখন বিএনপি চায় অর্থনীতিকে গণতন্ত্রের আওতায় আনতে। এজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যেমন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আরও শক্তিশালী করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পথ সুবিধা করে দেওয়া, যাতে গ্ৰামীণ মানুষ তাদের তৈরি পণ্য বিক্রি করে মানুষের জীবন মান উন্নত করতে পারে।
এছাড়া তিনি বলেন, বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে মানুষের সমস্যা শুনছে এবং তাদের দাবি-চাহিদা পূরণের উপায় খুঁজছে। সরকারের কাছে বলে থাকছেন, হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পকে পুনরুদ্ধার করে ব্র্যান্ড তৈরি এবং আর্থিক, প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে সহায়তা দিতে হবে।
আমীর খসরু প্রত্যাদেশ করেন, গ্রামে বসে মানুষ পণ্য তৈরি করবেন এবং সেসব পণ্য দেশ-বিদেশে বিক্রি হবে। এতে তাদের জীবনমানের উন্নতি হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সাধারণ মানুষ অর্থনীতির মূলধারায় যুক্ত হবে। এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।