বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিপ্রণালীত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন কর্মকর্তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। তবে, বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, মূলত অভিযোগে জড়িত এসব কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানো জরুরি। আদালত সূত্রে জানা
বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিপ্রণালীত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন কর্মকর্তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। তবে, বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, মূলত অভিযোগে জড়িত এসব কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানো জরুরি। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারী কর্মকর্তা হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, রেদোয়ান, মজিদ ও তানভীর আহমদ। এ সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি। দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করে বললেন, অভিযুক্ত ছয়জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন না পেয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ পান। জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির অভিযোগে ২০২৩ সালে দুদক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ৫৮ জনের নাম আসেন। পরে, ২৪ এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তখন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে দেখা যায়, উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর, ওই বছরের ১ এপ্রিল, দুদক থেকে মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে তৎকালীন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার ছাড়াও আরও ৫৬ জন কর্মকর্তা আসামি করা হয়। এই ব্যাপারে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।