দৈনিক ৬ কোটি ডিম উৎপাদন সত্ত্বেও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না: ফরিদা আখতার

দৈনিক ৬ কোটি ডিম উৎপাদন সত্ত্বেও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না: ফরিদা আখতার

দেশে প্রতিদিন প্রায় ছয় কোটি ডিম উৎপাদিত হয়ে থাকে, তবু তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, আমাদের দেশে মানুষের পুষ্টি পরিস্থিতি এখনো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে। বর্তমানে গড়ে একজন মানুষ দৈনিক মাত্র ২০০ গ্রাম মাংস খেতে পারছেন। অনেক পরিবার এখনও সপ্তাহে বা মাসে একদিন কিছু

দেশে প্রতিদিন প্রায় ছয় কোটি ডিম উৎপাদিত হয়ে থাকে, তবু তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, আমাদের দেশে মানুষের পুষ্টি পরিস্থিতি এখনো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে। বর্তমানে গড়ে একজন মানুষ দৈনিক মাত্র ২০০ গ্রাম মাংস খেতে পারছেন। অনেক পরিবার এখনও সপ্তাহে বা মাসে একদিন কিছু মাত্রা মাংস খেয়ে থাকেন।

শনিবার সকালে ঢাকায় সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে নবনির্মিত ছয় তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও এসএসসি-২০২৫ সালের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন। তাঁর মতে, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম দেশের পুষ্টির অপরিহার্য উৎস। তাই শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, পুষ্টির দিকেও মনোযোগ দেয়া জরুরি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের মাছ উৎপাদন তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে আছে। তবে আমাদের দেশের মানুষ এখনো পুষ্টির জন্য বেশি কিছু प्राप्त করতে পারেন না। তিনি বললেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বিশাল ত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে বহু তরুণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। অনেকে শারীরিকভাবে অঙ্গহানি ও চরম ক্ষতি স্বীকার করেছেন। তাঁদের ত্যাগের স্মৃতিকে স্মরণ করে, একটি এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে যেখানে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বিশেষ করে, বেগম রোকেয়ার জীবন ও অবদানের উল্লেখ করে তিনি বললেন যে, তিনি মুসলিম মহিলাদের জন্য স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করেছিলেন, যেখানে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলত। তিনি বলেন, কেবল বই পড়ে সবকিছু জানা সম্ভব নয়। ইতিহাস প্রায়ই বিকৃত হয়। তাই মুশকিলের সময় শিক্ষকদের উচিত, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করা এবং দেশের স্বার্থে সচেতন করে তোলা।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন—বিশেষ করে ইভটিজিংরোধে। যুব ও যুবতীর নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অনেকেই পড়াশোনা বন্ধ করে দেন, যা নতুন বাংলাদেশে বরদাস্ত করার মতো নয়।

পরিবেশ সচেতনতা ও রক্ষা সম্পর্কেও গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয় ও এলাকায় সপ্তাহে অন্তত একদিন পরিবেশ রক্ষা কর্মসূচি চালানো উচিত। একসাথে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে, কারণ এগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

অব্যাহতভাবে নারীদের আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্রত্যয়ীর সঙ্গে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে, ফরিদা আখতার বলেন, নারীরা আইন অনুযায়ী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। শিক্ষকদের, অভিভাবকদের ও সমাজকে একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে ওঠে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos