‘চাঁদাবাজি’ নিয়ে সমালোচনা, বিএনপির রোষানলে কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা আখ্যায়িত করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে টাঙ্গাইল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা। এ ঘটনাকে  কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা আখ্যায়িত করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে টাঙ্গাইল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা। এ ঘটনাকে  কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের তালতলা চত্বরে সমাবেশ করে।

এর আগে শনিবার বিকেলে সখীপুরের বাসভবনে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন কাদের সিদ্দিকী। এসময় ‘চাঁদাবাজি’ ইস্যুতে বিএনপির নেতাকর্মীদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রশংসা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগ যে দোষে সর্বহারা হয়েছে, সরকার পতনের পর বিএনপি কিন্তু ওই দোষই করছে। জামায়াতেরা বেবি—ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দখল করে নাই, বাজার দখল করে চাঁদা নেয় নাই। বিএনপি কিন্তু এমন করছে। আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত, এখন বিএনপি সেখান থেকেই চাঁদা নেয়। হয়তো চাঁদার রেট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে যেভাবে ভাগ নেওয়া যায় সব নেয়। এটা কিন্তু জামায়াত নেয় নাই।

মূলত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এই বক্তব্যর জের ধরেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পৌর শহরের তালতলা চত্বরে জড়ো হয়ে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।

সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু বিলেন, কাদের সিদ্দিকী বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর, এটা বাংলার মানুষ আগে বুঝতে পারে নাই। এটা প্রথমে বুঝতে পেরেছিল শেখ হাসিনা। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয় নাই। পরে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে (কাদের সিদ্দিকী) দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার কাছ থেকে কাদের সিদ্দিকী ঢাকা—টাঙ্গাইলের বাড়ি এবং ১০০ কোটি টাকারও বেশি সুদ—ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বাঙালি জাতির সঙ্গে মুনাফেকি করেছিলেন। তার আর বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।

ওই বক্তব্যের জেরে কাদের সিদ্দিকী ক্ষমা না চাইলে সখীপুরে কোথাও সভা—সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে শাজাহান সাজু আরও বলেন, কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করা হবে। ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো সময় নির্দেশ আসতে পারে কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করার। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos