লিটন-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড জুটিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের

টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ একটি দিন উপভোগ করলো বিশ্ব। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও সফরকারী পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে টাইগাররা। যদিও দিনের শুরুতে মনে হয়েছিল বাংলাদেশকে লজ্জা দিতে যাচ্ছে পাক বাহিনী। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের অবিচ্ছিন্ন দুই শতাধিক

টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ একটি দিন উপভোগ করলো বিশ্ব। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও সফরকারী পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে টাইগাররা। যদিও দিনের শুরুতে মনে হয়েছিল বাংলাদেশকে লজ্জা দিতে যাচ্ছে পাক বাহিনী।

তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের অবিচ্ছিন্ন দুই শতাধিক রানের রেকর্ড জুটিতে বেশ ভালো অবস্থানে থেকে প্রথম দিন পার করলো বাংলাদেশ। দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান। এর মধ্যে ৮২ রানে অপরাজিত মুশফিক ও ১১৩ রানে অপরাজিত লিটন দাস। দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে অবিচ্ছিন্ন ২০৪ রানের জুটি।

টেস্ট ক্রিকেটে লিটন দাস বরাবরই ভালো। সেটাই যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। বাংলাদেশ যখন মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে, ঠিক তখনই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুললেন রেকর্ড জুটি। একই সঙ্গে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।

লাঞ্চ বিরতির আগে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দলের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৯ রান যোগ করতেই যে নেই ৪ উইকেট। অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ফরম্যাট বদলেছে ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটারদের পারফরম্যান্স যেন বদলায়নি।

দলীয় ১৯ রানের মাথায় ১৪ রান করে ফিরে যান ওপেনার সাইফ হাসান। শাহীন আফ্রিদির একটি বাউন্স ঠেকাতে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার আবিদ আলির হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অপর ওপেনার সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রানের সময় তিনিও মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। হাসান আলির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি মাত্র ৬ রান করেছেন। স্পিনার সাজিদ খানের বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দলের রানের খাতায় আরও ২ রান যোগ করতেই নেই আরও একটি উইকেট। এবার ফাহিম আশরাফের শিকার ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল শান্ত। তিনি সাজিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এই তরুণও ১৪ রান করেন। ৪৯ রানেই চার উইকেট হারায় টাইগাররা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন। দলীয় স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান যোগ করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা। লাঞ্চের পর থেকে সারাদিন সাবলিলভাবে ব্যাটিং করে লড়াই চালিয়ে গেছেন এই দুইজন। আর উইকেট পরতে দেননি। ফলে বেশ হতাশাময় একটি দিন পার হলো পাকিস্তানি বোলারদের।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos