করোনার মধ্যেও নতুন শ্রমিক নিয়েছে ৬০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানা

করোনার মধ্যেও নতুন শ্রমিক নিয়েছে ৬০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানা

করোনাকালেও ৬০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানা নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। অন্যদিকে এই সময়ে কাজ হারিয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ জন শ্রমিক এবং বন্ধ হয়েছে ২৩২টি কারখানা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার পর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশব্যাপী ৬১০টি তৈরি পোশাক কারখানার ওপর এ জরিপ

করোনাকালেও ৬০ শতাংশ গার্মেন্টস কারখানা নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। অন্যদিকে এই সময়ে কাজ হারিয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ জন শ্রমিক এবং বন্ধ হয়েছে ২৩২টি কারখানা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার পর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দেশব্যাপী ৬১০টি তৈরি পোশাক কারখানার ওপর এ জরিপ চালানো হয়। গতকাল শনিবার এক ভার্চুয়াল সংলাপে এ জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

একদিকে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে, অন্যদিকে ৬০ শতাংশ কারখানা নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি কিছুটা সাংঘর্ষিক। তবে জরিপ প্রতিবেদনে এর একটি ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে বহুসংখ্যক কারখানা চাকরিচ্যুত শ্রমিকদেরই কম বেতনে এবং অস্থায়ীভিত্তিতে ফের নিয়োগ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই খাতের পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঋণ প্রাপ্তির জটিলতার কারণে বেশিরভাগ ছোট কারখানা ঋণের জন্য আবেদন করেনি। ৯০ শতাংশ বড় কারখানার বিপরীতে মাত্র ৪০ শতাংশ ছোট কারখানা এই আবেদন করে।

প্রতিবেদনে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার আবেদন প্রক্রিয়া আরো সহজ করা, সদস্য নয় এমন কারখানাগুলোকে দ্রুত সমিতির সদস্যভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে নিয়মের মধ্যে আনার ওপর জোর দেওয়া হয়।

‘কোভিড-১৯ বিবেচনায় পোশাক খাতে দুর্বলতা, সহনশীলতা এবং পুনরুদ্ধার : জরিপের ফলাফল’ শীর্ষক ঐ সংলাপে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে এ সময় তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ম্যাপড্ ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) ব্যবস্থাপক সৈয়দ হাসিবুদ্দিন।

এ সময় বক্তারা সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, তা তদারকির ওপর জোর দেন। সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিরিন আখতার এমপি, বিকেএমই-এর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার প্রমুখ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos