শুক্রবার বিকেল ৫ টায় রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার এক তরুণ ছাত্রের সাহসী ভূমিকায় ৩৫ লিটার চোলাই মদ, ২৯০ গ্রাম হেরোইন সহ ধরা খেল এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শফিক (২৬) ও রনি (২৮)। তাহারা ওই এলাকার বাসিন্দা। গতকাল ২ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়। জানা গেছে কুখ্যাত
শুক্রবার বিকেল ৫ টায় রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার এক তরুণ ছাত্রের সাহসী ভূমিকায় ৩৫ লিটার চোলাই মদ, ২৯০ গ্রাম হেরোইন সহ ধরা খেল এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শফিক (২৬) ও রনি (২৮)। তাহারা ওই এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল ২ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়।
জানা গেছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান চৌধুরী লাবলু, তার সহযোগী শফিক ও রনি সহ আরও ৪-৫ জন ব্যক্তি মাদক বহনকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সূত্রাপুর থানার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, একজন সাহসী ছাত্র, কাজী রুবেল হোসেন, নিজের জীবন বাজি রেখে মাদক ব্যবসায়ীদের পেছনে ধাওয়া করে আটক করে স্থানীয় থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
জানা যায় যে, ঘটনাস্থল থেকে আতিকুর রহমান চৌধুরী লাবলু তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে পালাতে সক্ষম হলেও আতিকুর রহমান চৌধুরীর অবৈধ মাদক ব্যবসায় অন্যতম সহযোগী শফিক (২৬) ও রনি (২৮) পুলিশের হাতে ধরা পরে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৯০ গ্রাম হেরোইন, ২৫ লিটার চোলাই মদ, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সূত্রাপুর এলাকার কয়েকটি স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রাপুর এলাকার এক স্থায়ী বাসিন্দা জানান যে, আতিকুর রহমান চৌধুরী লাবলু – তার দলবল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় আওয়ামীলীগ এর সেক্রেটারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’র হয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম-এর সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হোলে তিনি গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন এবং বলেন, আতিকুর দীর্ঘদিন থেকে সূত্রাপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করছিল। কিন্তু ওই একি এলাকার কাজী রুবেলের সাহসিকতার সাথে তাদের ধাওয়া করেন এবং এক পর্যায়ে পুলিশ শফিক ও রনি-কে আটক করেন।
তিনি আরও জানান শফিক ও রনি – উভয়েয়ই নানাবিধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাদেরকে খুঁজছিলো। তিনি কাজী রুবেল হোসেনের সাহসিকথার প্রশংসা করে বলেন, আমাদের দেশে এধরনের ছেলেমেয়ে দরকার, যারা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মাদক সেবন/ব্যবসা রোধে সহায়তা করবে। আমরা একটি মাদক মুক্ত বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান মোরশেদুল আলম।