ব্ল্যাকহোল নাকি সুপারনোভা?

ব্ল্যাকহোল নাকি সুপারনোভা?

এখন পর্যন্ত কোনো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবারে নাসার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একদল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ প্রথমবারের মতো একটি নক্ষত্র ধসে জটিল বস্তু গঠিত হওয়ার ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। অবশ্য নক্ষত্র ধসে তৈরি হওয়া বস্তুটি নিউট্রন তারা নাকি কৃষ্ণগহ্বর তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য

এখন পর্যন্ত কোনো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবারে নাসার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একদল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ প্রথমবারের মতো একটি নক্ষত্র ধসে জটিল বস্তু গঠিত হওয়ার ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। অবশ্য নক্ষত্র ধসে তৈরি হওয়া বস্তুটি নিউট্রন তারা নাকি কৃষ্ণগহ্বর তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার অ্যাস্ট্রেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইম্প্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম টেলিস্কোপে গত বছরের ১৬ জুন রাতের আকাশে সংক্ষিপ্ত ও অস্বাভাবিক ওই বিস্ফোরণ ধরা পড়ে।

মহাকাশের ওই বিস্ফোরণকে বলা হয় ‘এটি ২০১৮ কাউ’। এ ঘটনাটি ‘দ্য কাউ’ নামেও পরিচিত। এ বিস্ফোরণটি হারকিউলিস নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে ২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ‘সিজিসিজি ১৩৭-০৬৮’ নামের নক্ষত্র ধাত্রী ছায়াপথের ভেতরে বা নিকটে ঘটেছে।

নাসার গবেষকেরা বলেন, তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে আকস্মিক ওই বিস্ফোরণের আভা দেখা যায় যা সাধারণ সুপারনোভার ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল। এরপর কয়েক মাস ধরে এর উজ্জ্বলতা কমতে থাকে।
ওই বস্তুটির ঘটনা দিগন্ত ঘিরে নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষের ঘুরপাক খাওয়ার বিষয়টি অসাধারণ উজ্জ্বল আভা তৈরি করে। নিল গেহ্রিলস সুইফট অবজারভেটরি ও নিউক্লিয়ার স্পেকট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারের (নুষ্টার) মতো একাধিক নাসার মিশন থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে একদল গবেষণ ধারণা করছেন, দ্য কাউ মূলত একটি দৈত্যকার কৃষ্ণগহ্বর যা একটি ক্ষণস্থায়ী নক্ষত্রকে ছিন্নভিন্ন করেছে।

রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ‘মান্থলি নোটিশেস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষকেরা বলছেন, ছিন্নভিন্ন নক্ষত্রটি একটি সাদা বামন যা পৃথিবীর আকারের একটি অধিক উষ্ণ নক্ষত্রের অবশেষ। এটি আমাদের সূর্যের মতো নক্ষত্রের সর্বশেষ পর্যায়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) জ্যোতির্বিদ পল কুইন বলেন, দ্য কাউ খুব স্বল্প সময়ে বিশাল ধ্বংসাবশেষের মেঘ তৈরি করেছে। বড় আকারের নক্ষত্রকে ঘিরে বড় আকারের মেঘ তৈরি করতে বিশাল একটি ব্ল্যাক হোলের দরকার।

তবে আরেক দল গবেষক ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছেন, একটি নক্ষত্র বিস্ফোরণ বা সুপারনোভা থেকে দ্য কাউয়ের সৃষ্টি। কাউয়ের বৈশিষ্ট্য দেখে মনে হয়েছে, এত দ্রুত কোনো বস্তু পরিবর্তন হতে পারেন না। এটি মূলত সুপারনোভা বা এক ধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos