লন্ডন প্রবাসী যুবকের লেখা নিয়ে চাঁদপুরের পূজায় উত্তেজনা

লন্ডন প্রবাসী মিল্টন কুমার দে নামক এক হিন্দু ব্লগারের ব্লগ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে চাঁদপুর পুরান বাজার এলাকায়, এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বর ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রা ডেকে পাঠিয়েছেন মিল্টনের বাবা-মাকে। এইদিকে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীকে সত্ররক করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে। জানা যায়

লন্ডন প্রবাসী মিল্টন কুমার দে নামক এক হিন্দু ব্লগারের ব্লগ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে চাঁদপুর পুরান বাজার এলাকায়, এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বর ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রা ডেকে পাঠিয়েছেন মিল্টনের বাবা-মাকে। এইদিকে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীকে সত্ররক করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে।

জানা যায় মিল্টন কুমার দে নামক এক ব্যাক্তি তার নিজস্ব ব্লগ থেকে ইসলাম ধর্মের স্মমানিত ব্যাক্তিদের নিয়ে নানাবিধ কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করে আসছিলো বলে এলাকার মুসলিমদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানকার স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীরা মিল্টন কুমারের বাড়ীর আশে পাশে অবস্থান নিয়ে থাকেন। এই সময় মিল্টনের বাবা সম্ভুনাথ দে ও তার মা মমতা রানী দে কে এলাকার চেয়ারম্যান সতর্ক করে দেন এবং ব্লগের লেখা মুছে ফেলার জন্য আহবান করেন। এইসময় এলাকার চিহ্নিত কিছু জামাতের কর্মীকে উচ্চ স্বরে নারায়ে তাকবীর বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা বলতে থাকে বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হলে ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে।

এই সময় একটি উত্তেজনাকরা পরিস্থিতি তৈরী হয় এবং সেখানকার স্থানীয় কিছু ব্যাক্তিরা নারায়ে তাকবীর বলে আশে পাশের পুজো মন্ডপে পুজোর জন্য স্থাপিত মূর্তিও ভাংচুর করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যে শুধু মিল্টনের লেখাই নয় বরং পুজার মন্ডপ থেকে অনবরত মাইকে কীর্তন, উলুধ্বনি, গান ইত্যাদির কারনে তাদের নামাজের ব্যাঘাত ঘটে। অনেকবার বলার পরেও পুজা কমিটির কর্তাব্যাক্তিরা সেসবে কর্ণপাত করেনি।

এই ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশের ওসিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন কিছু উশৃংখল যুবক পুজার প্রতিমা ভাংচুর করেছে সঠিক কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে দুই পক্ষই কথা বলছে বিধায় আমরা মামলা করবার জন্য উৎসাহ দেইনি। কিন্তু মিল্টনের জ্যাঠা গোপাল চন্দ্র দে’র সাথে কথা বলে জানা যায় যে পুলিশের কাছে প্রতিমা ভাংচুর নিয়ে অভিযোগ করলেও তিনি এসব মিটিয়ে ফেলার কথা বলে আর মামলা নেননি। গোপাল চন্দ্রের ছেলে পবন কুমার দে এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমরা এখানে খুব আতংকের মধ্যে আছি। এইসব লেখা কিংবা পুজার আওয়াজকে কেন্দ্র করে কখন কি হয় বলা যায়না। প্রাণ বাঁচাতে সবই খুব সতর্কতার সাথে দিনানুপাত করছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos