পার্বত্য নাগরিক পরিষদ কর্তৃক প্রতিবাদ জ্ঞাপন

২৭ অক্টোবর ২০১৩। গুডনিউজ ডেস্ক। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাঙাাল ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন, পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক জনাব মঙ্গল কুমার চাকমার কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত ২০ শে অক্টোবর ২০১৩ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনী বিল চলতি সংসদে

২৭ অক্টোবর ২০১৩। গুডনিউজ ডেস্ক।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাঙাাল ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন, পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক জনাব মঙ্গল কুমার চাকমার কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত ২০ শে অক্টোবর ২০১৩ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনী বিল চলতি সংসদে পাস করা হউক’ শীর্ষক মতামত কলামে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এবং পার্বত্য যুবফ্রন্টকে, জনসংহতি সমিতির প থেকে, সেটেলার বাঙ্গালীদের ভুঁইফোড় সংগঠন বলা হয়। এর প্রতিবাদে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ যেই বিবৃতি দেন, সেই বিবৃতি হুবহু উদ্বৃত করা হল।
উদ্বৃতি শুরু। আমরা ৩ (তিন) পার্বত্য জেলার বাঙ্গালীদের  পে  গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির আমন্ত্রনে সংসদীয় সভায় অংশ গ্রহণ করে সংশোধনীর বিতর্কিত ধারা বাতিলসহ যৌক্তক দাবী উপস্থাপনের কারনে জনাব মঙ্গল কুমার চাকমা নাখোশ হয়েছেন। সংসদীয় বৈঠকে বাঙ্গালীদের বিপে বানিয়ে বানিয়ে আজগুবি কাল্পনিক ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বৈঠকের লোকদের কান ভাড়ী করতে পারেনি বলে আমার উপস্থিতিকে তিনি সহজভাবে নিতে পারেনি, তাই সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। বাঙ্গালীদের পে লোক থাকায় বিষয়টিকে আত্মঘাতি নীতি বলে তার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গল কুমার চাকমাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, পাহাড়ে শুধু চাকমারাই বসবাস করে না, বাংলা ভাষাভাষীর অন্য জাতিকেও সহ্য করতে হবে। উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই স্ববিনয়ে বলতে চাই, পার্বত্যাঞ্চলে বাঙ্গালীরা সেটেলার নয়। প্রকৃত বিচারে উপজাতিরাই সেটেলার তারাই অনুপ্রবেশকারী অভিবাসী। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত যে, ভারত, তিব্বত ও বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে উপজাতি গোষ্ঠী বাংলাদেশে তথা পার্বত্য চট্রগ্রামে বসতি স্থাপন করেছে। অন্যদিকে ১৯৮৬ সালের ২৯শে এপ্রিলে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং, তবলছড়ি, আসালং, ফংপাড়া, উল্টাছড়িতে ভয়াবহ হামলার পর ১৯৯১ সালের ১লা নভেম্বর সর্বত্র সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের ল্েয গঠিত হয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। পার্বত্য নিপিড়িত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর একমাত্র পাইওনিয়ার সংগঠনকে ভুঁইফোড় সংগঠন তারাই বলে, যারা প্রতিহিংসাপরায়ন, পরশ্রীকাতর, যারা পরের কোন কিছুই সহ্য করে না।
জনাব মঙ্গল কুমার চাকমা ও উষাতন তালুকদারকে বলতে চাই, আপনারা কি পার্বত্য চট্রগ্রামকে স্বাধীন জুমল্যান্ড রাষ্ট্র গঠনে চেষ্টা করছেন ্না? যদি তা না হয়, তাহলে ৩০ ল প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেন অস্ত্র ধরেছেন? কেন পাবর্ত্য চট্রগাম থেকে বাঙ্গালীদের সরিয়ে দেওয়ার দাবীতে সোচ্ছার? কেন সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশের সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের অপচেষ্টায় আপনারা লিপ্ত? কার স্বার্থে বিতর্কিত ভূমি কমিশনের সংশোধনী আইন? কার স্বার্থে পবিত্র সংবিধানকে ভুলুন্ঠিত করে ভূমি বিরোধ সংশোধনী ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করালেন? কার স্বার্থে জোর করে উপজাতিদেরকে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবী নিয়ে আপনারা মাঠে তৎপর। আপনাদের থলের খবর এখন সর্বত্রই জানাজানি হয়ে গেছে। তাই দেশ বিরোধী কুচক্রী চাল বন্ধ করুন। সকলে মিলে দেশটাকে সুন্দর আগামীর জন্য নিজেদের ুদ্র স্বার্থকে বিলিয়ে দেই। উদ্বৃতি শেষ। বার্তা প্রেরক, মো. খলিলুর রহমান, অফিস সম্পাদক, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। কেন্দ্রীয় কমিটি, মোবাইল : ০১৫৫২-৪৮০১৭৩।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos