পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন ও এসআইআর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের ওপর কঠোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এক কর্মীসভায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলায় রাজনৈতিক যুদ্ধে জয়লাভের পর তার পরবর্তী লক্ষ্য হবে দিল্লির ক্ষমতা দখল করা। বর্তমানে এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো ভোটার তালিকা পুনর্সংস্করণ,
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন ও এসআইআর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের ওপর কঠোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এক কর্মীসভায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলায় রাজনৈতিক যুদ্ধে জয়লাভের পর তার পরবর্তী লক্ষ্য হবে দিল্লির ক্ষমতা দখল করা।
বর্তমানে এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো ভোটার তালিকা পুনর্সংস্করণ, বিশেষ করে এসআইআর (স্মার্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রি) বিষয়ক সংশোধনীগুলো। সম্প্রতি বিহারে ৫২ লাখ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঘটনা সামনে আসার পর পশ্চিমবঙ্গেও একই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, নির্বাচন কমিশন মূলত বিজেপির সুবিধার জন্য এই তালিকা দ্রুত সংশোধন করছে। বিশেষ করে ১৯৮৭ সালের পর জন্ম নেওয়া নাগরিকদের জন্য মা-বাবার ১২টি নথি জমা দেওয়ার শর্ত তৈরি করা নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই ভোটার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে ৪৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলার অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে তারা নিজেও ক্ষমতা হারাতে পারে। সাধারণ ভোটারদের তিনি আহ্বান জানাচ্ছেন, যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চায়, তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে। একই সঙ্গে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প চালু হতে দেবে না।
তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর-এর খসড়া তালিকায় পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫৮ লাখ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তার দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়ান এবং যাদের নথিতে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে, তাদের শুনানির জন্য সহায়তা করুন। তিনি শেষ পর্যন্ত জনগণের অধিকার রক্ষা করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন।











