আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৈঠক করলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরতিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠকের আয়োজন হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই বৈঠক
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৈঠক করলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরতিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠকের আয়োজন হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা নির্বাচন ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে এই প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ।
বৈঠকে অংশ নেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিইসির সাথে আরো চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে পৌঁছানোর পর তিন বাহিনী প্রধানের সুসজ্জিতভাবে অভ্যর্থনা জানান ইসি সচিব। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং সশস্ত্র বাহিনীর অঙ্গীকার ও ভূমিকা।
এরই এক ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ দুপুর ১২টার সময়, এই বৈঠকের পর একই স্থানে আরও একটি কার্যকরী আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিইসি নিজে এবং সভায় অংশ নেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, আইজিপিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই সভার উদ্দেশ্য হলো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস এবং অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কার্যকর रणनीতি গ্রহণ। এছাড়াও, প্রার্থীরা ও রাজনৈতিক দলগুলি যাতে ২০২৫ সালের আচরণবিধি মান্য করে সেদিকে নজর দেওয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছেন, আজকের ওই ধারাবাহিক বৈঠকগুলি মূলত যুবসমাজ, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্বাভাবিক প্রতিপালন নিশ্চিত করতে পরিচালিত। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বিকেলে গণমাধ্যমের সামনে সভার সিদ্ধান্ত ও গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তঃসম্পর্কিত যথেষ্ট প্রস্তুতি ও সমন্বয় এখন দেশের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা মহলে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।











