বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি এই মহান মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি এই মহান মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার জন্য প্রার্থনা জানান।
শোক বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অমোঘ সৈনিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী তিনি দেশের মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং সংগঠনের দক্ষতার মাধ্যমে মুক্তির সংগ্রাম আরও সুসংহত করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে তার অসামান্য অবদান ছিল। প্রথমবারের মতো এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর সংগঠনে রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার জন্য এ কে খন্দকারের প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, তিনি একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা ও গৌরবময় দেশপ্রেমিক। তার জীবন ও কর্ম দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় তার অবদান অস্বীকার করা যায় না। তবে তার এই ইতিহাস লেখার জন্য তাকে দেশীয় শাসনামলে রোষানলে পড়তে হয়, কারণ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এ কে খন্দকারের জীবনাদর্শ দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। তার মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক সন্তানকে হারালো, যিনি সাহস, সততা এবং মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত প্রেরণা। তিনি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক জানান।











