মরক্কোর উপকূলীয় শহর সাফিতে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ অপ্রত্যাশিত বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এই বিপর্যয় রবিবার ঘটে, যখন রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাত্র এক ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণের ফলে শহরটির রাস্তাগুলো কাদাপানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, যার ফলে জীবনযাত্রা
মরক্কোর উপকূলীয় শহর সাফিতে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ অপ্রত্যাশিত বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এই বিপর্যয় রবিবার ঘটে, যখন রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাত্র এক ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণের ফলে শহরটির রাস্তাগুলো কাদাপানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, যার ফলে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় কমপক্ষে ৭০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, আটলান্টিক উপকূলীয় এই শহরের সংযোগ সড়কগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখানো হচ্ছে, কীভাবে বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে ডুবে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত সাত বছর ধরে মরক্কো ব্যাপক খরায় ভুগছে। শুষ্ক মরুভূমি ও মৃতপ্রায় ভূমি এই কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে, ফলে বৃষ্টির জল শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে, ক্ষণিকের ভারী বর্ষণে এই এলাকা দ্রুত জলমগ্ন হয়ে যায়। পরিস্থিতিটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেরও একটি স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সাল মরক্কোতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে রেকর্ড되어। মঙ্গলবার থেকে আরও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে দেশজুড়ে, যা সম্ভাব্য নতুন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।











