পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো নিয়ে রুশ হামলার আশঙ্কা আরও জোরদার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের উপর কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক দিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান মার্কো রুট্টে। তিনি জার্মানিতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ কথা জানান। রুট্টে বলেন, রাশিয়া ইতোমধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে গোপন আক্রমণের স্তর বাড়াচ্ছে,
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো নিয়ে রুশ হামলার আশঙ্কা আরও জোরদার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের উপর কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক দিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান মার্কো রুট্টে। তিনি জার্মানিতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ কথা জানান।
রুট্টে বলেন, রাশিয়া ইতোমধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে গোপন আক্রমণের স্তর বাড়াচ্ছে, এবং আমাদের প্রস্তুতি থাকা জরুরি, যেন আমরা সেই ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকি যা পূর্বপুরুষরা দেখেছিল। তিনি অবজ্ঞাসহ মন্তব্য করেন, পশ্চিমা গোয়েন্দাদের বিভিন্ন সময়ের মূল্যায়নগুলো আবারো দেখিয়েছেন, যা মস্কো বরাবরই ‘উদ্বেগ তৈরির অপচেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের মেয়াদ বাড়ার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ট্রাম্পের উদ্যোগে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেনে শান্তির জন্য মার্কিন প্রচেষ্টায় ইউরোপ বাধা সৃষ্টি করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার সামরিক শক্তি পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই উদ্বেগজনক। তারা বলছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া অনেক প্রত্যাশা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতি ইতিমধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং তারা ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ উৎপাদন দ্রুত বাড়াচ্ছে। কিয়েল ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়া প্রতি মাসে প্রায় ১৫০টি ট্যাংক, ৫৫০টি ইনফ্যান্ট্রি রাইফেল ভেহিকল, ১২০টি ল্যানসেট ড্রোন ও ৫০টির বেশি আর্মামেন্ট তৈরি করছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, পশ্চিমা দেশের হয়তো অনেক বছর লাগবে রাশিয়ার সামরিক উৎপাদনের সমান শক্তি গড়ে তুলতে। ন্যাটোতে ৩০টি ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে, যাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের চাপের মুখে দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করছে।
ন্যাটোর মহাসচিব রুট্টে বলেন, আমাদের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট নয়। সংঘাতের কেন্দ্রেই আমাদের সম্মোহন রয়েছে, আর অনেকেই এর তীব্রতা বুঝতে পারছে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, এত দ্রুত আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়াতে না পারলে, ভবিষ্যতে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে পারে, ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং ন্যাটোসহ অন্যান্য দেশগুলোর ওপর সশস্ত্র হামলার আশঙ্কা রুলে আসতে পারে।











