জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মাঠ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে সরকারের নীরবতা ও অস্পষ্টতা প্রকাশ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর। তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চান, মাঠের ব্যবহার শুধুই ফুটবল খেলার জন্যই হচ্ছে কি না, নাকি অন্যান্য খেলাধুলারও আয়োজন করা যাবে। এর জন্য তিনি সাত দিনের মধ্যে স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন। যদি এই সময়ের মধ্যে
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মাঠ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে সরকারের নীরবতা ও অস্পষ্টতা প্রকাশ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর। তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চান, মাঠের ব্যবহার শুধুই ফুটবল খেলার জন্যই হচ্ছে কি না, নাকি অন্যান্য খেলাধুলারও আয়োজন করা যাবে। এর জন্য তিনি সাত দিনের মধ্যে স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন। যদি এই সময়ের মধ্যে জবাব না আসে, তাহলে তিনি উচ্চ আদালতে রিট দায়েরের জন্য বাধ্য হবেন। এটি তিনি গত শনিবার বিকেলে নিজ জেলা কুমিল্লায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আয়োজন করা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার, কোচ ও ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে ‘আপনজন আড্ডা’য় বক্তৃতাকালে একথা জানান। এই আড্ডার আয়োজন করে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
আসিফ আকবর, যিনি সম্প্রতি বিসিবি পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, মাঠ পরিদর্শনে এসে খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে গল্প করেন, ছবি তোলেন এবং তাদের উৎসাহ দেন।
আড্ডায় তিনি বলেন, ‘আমাদের সব খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে খেলার জন্য সবাই সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত কিছু জায়গায় স্বেচ্ছাচারিতা দেখা যায়—বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলের নামে বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে মাঠের একচেটিয়া ব্যবহার। কুমিল্লার পরিস্থিতি দেখে আমি জানতে চাই— কি শুধুই ফুটবল খেলার জন্য মাঠ বাঁধা, নাকি সব খেলাধুলার জন্যও উন্মুক্ত?’ তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে অনেক জেলা এমন পরিস্থিতির শিকার যেখানে পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় মাঠের অবস্থা খারাপ। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অনেক জায়গাতেই খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা নেই, মাঠ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। তাই খেলাধুলার উন্নয়নে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও কার্যকর উদ্যোগ জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য বদরুল হুদা জেনু, কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, আফিস তরুণাভ, মাহির তাজওয়ার ওহী, সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক ইমদু, সাবেক ক্রিকেটার ফখরুল আলম উল্লাস, ক্লাব অফিসিয়াল আল আমিন ভূঁইয়া, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম সোহাগ এবং কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কোচ ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট সদস্য হাবীব মোবাল্লেক উপস্থিত ছিলেন।











