সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ না করতে ইসরায়েলকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ না করতে ইসরায়েলকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ইউনাইটেড স্টেটসের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ না করার জন্য ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন। একইসাথে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের অধীনে চলমান পরিবর্তনগুলো তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্টিের সঙ্গে দেখছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েল বিভিন্ন হামলা চালিয়ে আসছে। এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ

ইউনাইটেড স্টেটসের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ না করার জন্য ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন। একইসাথে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের অধীনে চলমান পরিবর্তনগুলো তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্টিের সঙ্গে দেখছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েল বিভিন্ন হামলা চালিয়ে আসছে। এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ এখন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার রাজনৈতিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে।

খবরের সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার কয়েক দিন পরেই ট্রাম্প সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও আন্তরিক যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি, যাতে এই অঞ্চলের অগ্রগতি ব্যাহত না হয়। আমাদের লক্ষ্য যেন সিরিয়া একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার প্রশংসা করে বলেন, তিনি দুই দেশের জন্যে ভালো কিছু ঘটানোর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তিনি যুক্ত করেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি এক ঐতিহাসিক সুযোগ।’

অন্যদিকে, সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সিরীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অন্তত এক হাজারের বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করেছে চার শতাধিক অভিযান, এবং গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোনও দখলে নেওয়া হয়েছে। এইসব কর্মকাণ্ড ১৯৭৪ সালের শান্তি চুক্তিরও লঙ্ঘন। প্রেসিডেন্ট আল-শারার এলাকাটিতে স্থায়ী শান্তির জন্য ৮ ডিসেম্বরের আগে সীমান্তে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘সিরিয়ায় সাম্প্রতিক অগ্রগতি এবং শান্তির জন্য নিরলস কাজের ফলস্বরূপ আমরা সন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি সত্যিকারের, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।’

উল্লেখ্য, সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু মার্কিন অর্থনৈতিক ও যুদ্ধবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তালিকা থেকেও একাধিক সিরীয় কর্মকর্তা বাদ পড়েছেন। তবে, কিছু নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার বা শিথিলের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার, এবং প্রশাসন চাইলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর দেড়শো দিনের জন্য স্থগিতও করতে পারে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos