ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে মোট ২৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই দুটি ট্রলার থেকে জেলেদের উদ্ধার করে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা ট্রলারটিতে টানা ১৫ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছিল। ঘটনাগুলোর বিস্তারিত অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর রোববার রাতে ‘এফ বি আল্লাহ মালিক’ নামের একটি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয়
ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে মোট ২৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই দুটি ট্রলার থেকে জেলেদের উদ্ধার করে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা ট্রলারটিতে টানা ১৫ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছিল।
ঘটনাগুলোর বিস্তারিত অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর রোববার রাতে ‘এফ বি আল্লাহ মালিক’ নামের একটি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধরা পড়ে। এরপর ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা ট্রলারটির জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে, নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ট্রলার ও জেলেদের আটক করা হয়। ১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আটক জেলেরা সুস্থ আছেন।
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার মোসাভানিপেটা উপকূলের কাছ থেকে আরও ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে স্থানীয় শ্রীকাকুলাম উপকূলরক্ষী বাহিনী। তদন্তে জানা গেছে, ভোলা জেলার এই জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে বের হয়েছিলেন, কিন্তু অসুবিধার জন্য ভুলবশত প্রথমে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে যান।
৩০ নভেম্বর, স্থানীয় জেলেরা মোসাভানিপেটার কাছে তাদের নৌকা দেখতে পান ও সাহায্য চান। তারা প্রথমে জেলেদের খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করে এবং পুলিশে খবর দেয়। শুনে দ্রুত পুলিশ ও মেরিন অফিসাররা সেখানে পৌঁছান। ভাষাগত সমস্যার কারণে কিছুটা তোড়জোড় হচ্ছে, তবে স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ হয়। কথিত, তারা গত ১৫ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছিল।
পরে, এই জেলেদের আটক করে কলিঙ্গপত্তনম থানায় হস্তান্তর করা হয়। ভারতীয় জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক জেলেদের মধ্যে রয়েছেন, সৈয়ব (২১), জাহাঙ্গীর (৩৫), সাব্বির (২৫), খোকন (৩২), মাকসুদ (৪০), মালিক (৮০), মো. ফারুক (৫৫), আরও আরও। তারা সবাই ভোলা জেলার বাসিন্দা।
কলিঙপত্তনমের মেরিন সার্কেল ইন্সপেক্টর বি. প্রসাদ রাও জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত যে, জেলেরা বাংলাদেশি নাগরিক। কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রলারটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে। তিনি আরো বললেন, কয়েকদিন ধরে খাবার ও ওষুধের অভাবে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছি ও পরে থানায় হস্তান্তর করেছি।











