সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেশের সাধারণ মানুষজনের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মোট খরচ পড়বে প্রায় ২৫০ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেশের সাধারণ মানুষজনের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মোট খরচ পড়বে প্রায় ২৫০ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে এক কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল এবং পঞ্চাশ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
আগামী মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এক সভায় এই ভোজ্যতেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, যিনি ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে রাইস ব্রান তেল কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে মোট ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে পাঁচটি আর্থিক ও কারিগরি দিক থেকে স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক বিবেচিত হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) সর্বনিম্ন দরদাতাদের কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা হলো তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, যারা ৩০ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড, যারা ৭০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১৬১ টাকা, ফলে মোট খরচ হবে ১৬১ কোটি টাকা। এই প্রস্তাব মান্যতা পায় এবং অনুমোদন পাওয়ার পরে কার্যক্রম শুরু হবে।
এছাড়াও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে চারটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে, সবই আর্থিক ও কারিগরি দিক থেকে গ্রহণযোগ্য। মূল্যায়নের ভিত্তিতে সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৭৯ টাকা ৮৫ পয়সা, ফলে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৮৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সরকারের এই উদ্যোগটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় সহায়তা করবে এবং সাধারণ মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবে।











