সারাদেশে সাড়ম্বরে ৫৫তম মহান বিজয় দিবস পালন করতে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলটি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজয় রোড শো করবে, পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এই ঘোষণা গতকাল শনিবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে দেয়া হয়, যেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য প্রকাশ করেন।
সারাদেশে সাড়ম্বরে ৫৫তম মহান বিজয় দিবস পালন করতে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলটি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজয় রোড শো করবে, পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এই ঘোষণা গতকাল শনিবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে দেয়া হয়, যেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের গৌরবের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন আরও বর্ণিল ও অর্থবহ করার জন্য এবারও বিএনপি একটি মাসব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিজয় মশাল রোড শো এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো’ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, যেখানে বহু শহীদের আত্মত্যাগ ও দীর্ঘ আন্দোলনের ফল এই বিজয়। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে চট্টগ্রামের কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এবং সেখান থেকেই এবারের বিজয় উৎসবের সূচনা হবে।
এছাড়াও, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই রোড শো কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং ফরিদপুরে বিস্তৃত হবে। প্রতিটি বিভাগে বিজয় মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও একজন জুলাই যোদ্ধা। এই কর্মসূচির মধ্যে থাকবে ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের গানে সাজানো পরিবেশনা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণের কিছু অংশ প্রচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী।
সবশেষে, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশের মাধ্যমে এই বিশাল কর্মসূচির সমাপ্তি হবে। এই দিনটি বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে এই সব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং বিজয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বছরও জাতীয়তার গাথা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলিকে কেন্দ্র করে এই উৎসবের সকল আয়োজন সাজানো হয়েছে।











