দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩২১ এ বৃদ্ধি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩২১ এ বৃদ্ধি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত রয়েছে, যেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ এলাকায় পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় এখন উদ্ধারকাজ, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার কাজ জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বের এই অঞ্চলে ক্রমাগত ভারী বর্ষণের ফলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিশাল অংশজুড়ে ব্যাপক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত রয়েছে, যেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ এলাকায় পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় এখন উদ্ধারকাজ, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার কাজ জোরদার করা হয়েছে।

বিশ্বের এই অঞ্চলে ক্রমাগত ভারী বর্ষণের ফলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিশাল অংশজুড়ে ব্যাপক বন্যা আঘাত হেনেছে। বিশেষ করে, মালাক্কা উপকূলের তীব্র ঝড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুমাত্রা দ্বীপ। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত প্রদেশের তিনটি এলাকায় ১৭৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। পদাং পারিয়ামান অঞ্চলে নিহতের সংখ্যা ২২ জন। এখানকার বাসিন্দারা এক মিটার উঁচু পানির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু বন্যার পানি কমছে না। যার কারণে উদ্ধারকর্মীরা এখনও সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

এক স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ রাইস উল্লেখ করেছেন, ‘আমাদের খাবার ও অন্যান্য সরবরাহ কমে আসছে’। গত বৃহস্পতিবার থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে যে, দ্বীপের অনেক এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার, ভূমিধসের জঞ্জাল পরিষ্কার এবং রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। শুক্রবারই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিমানযোগে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আটটি প্রদেশে এখন পর্যন্ত বন্যায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ। হাত ইয়াই শহরে শুক্রবার বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে, তবে এখানকার বাসিন্দাদের এখনও উচ্চ পানির সাথে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বেশিরভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নে ব্যস্ত। একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমি সব কিছু হারিয়েছি’।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়ায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। ঝড় ‘সেনিয়া’ মধ্যরাতে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তর বলেছে যে, ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। ছোট নৌযান পরিচালনাকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।

দেশটিতে প্রায় ৩০,০০০ মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে, যেখানে বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৩৪,০০০।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডের ২৫টিরও বেশি হোটেলে আটকা পড়ে থাকা ১,৪৫৯ মালয়েশিয়ান নাগরিককে উদ্ধার করেছে। তবে এখনও প্রায় ৩০০ জন বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকা রয়েছে, তাদের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos