নিউ জিল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নতুন দিন শুরু

নিউ জিল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নতুন দিন শুরু

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আকর্ষণীয় আযোজন, দেশের ও বিদেশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ—সব মিলিয়েই এই ধরনের লিগের ব্যাপক সাফল্য দেখছে। আগে থেকেই আইপিএলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের পথ ধরে অনেক দেশের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু হয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড এই ধারায় মূলত পিছিয়ে ছিল। এখন কিউই ক্রিকেটরা

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আকর্ষণীয় আযোজন, দেশের ও বিদেশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ—সব মিলিয়েই এই ধরনের লিগের ব্যাপক সাফল্য দেখছে। আগে থেকেই আইপিএলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের পথ ধরে অনেক দেশের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু হয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড এই ধারায় মূলত পিছিয়ে ছিল। এখন কিউই ক্রিকেটরা এই তালিকায় ঢুকে পড়ছে। ২০২৭ সাল থেকে নিজেদের জন্য নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে তারা, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মত মডেলে। এই পরিকল্পনায় প্রথমত, নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব লিগের জন্য লাইসেন্স থাকবে, তবে পরিচালনা আলাদা হবে। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশ, যা আন্তর্জাতিক তারকা না থাকায় ও দর্শকদের মনোযোগ না পাওয়ার কারণে গুরুত্ব হারানোর পথে। তাই দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছেন এনজেড-২০ প্রকল্পের প্রধান ডন ম্যাককিনন। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাককিনন উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সফলতা পেতে হলে নিউজিল্যান্ডকে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গড়ে তুলতে হবে। এই লিগ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো মডেলেই পরিচালিত হতে পারে। তবে, এই লিগের জন্য লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) কাছে, এবং পরিচালনা হবে স্বতন্ত্রভাবে। যদিও এখনো বোর্ড থেকে অনুমোদন মেলেনি, তবে অনুমোদন পেলে এটি সুপার স্ম্যাশের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন ম্যাককিনন। ২০১৪ সালে এনজেসি এই ধরনের এক প্রস্তাব সুযোগ না দেওয়ায় পিছিয়ে গিয়েছিল, কারণ তখনকার বোর্ড মনে করেছিল আইপিএল বা বিগব্যাশের সাথে প্রতিযোগিতা কষ্টকর। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। কিংবদন্তি কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা এই বেসরকারি মালিকানার লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন। পরিকল্পনামাফিক, ২০২৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বোর্ডের সাথে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকল্পের প্রধান। তবে এই লিগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়সূচি ঠিক করা, যাতে বিগব্যাশ, আইপিএল, এসএটু২০ বা আইএলটি২০ মতো প্রতিযোগিতার সঙ্গে সংঘাত না হয়, কারণ অন্যান্য লিগে অনেক কিউই ক্রিকেটার নিয়মিত খেলেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos