ঢাকার অনুরোধ খতিয়ে দেখছে দিল্লি

ঢাকার অনুরোধ খতিয়ে দেখছে দিল্লি

ঢাকা থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির উত্তর এখনও যদিও আসেনি, এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেরি করে দিল্লি এই চিঠির জবাব দেবে—এমনটি তিনি প্রত্যাশা করছেন না। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল

ঢাকা থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির উত্তর এখনও যদিও আসেনি, এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেরি করে দিল্লি এই চিঠির জবাব দেবে—এমনটি তিনি প্রত্যাশা করছেন না। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে, দিল্লি থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধটি এখন আরও পরীক্ষাধীন রয়েছে। এটি বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ কোটেশনের অংশ হিসেবে পর্যালোচনা চলছে।

চিঠিতে কী লেখা রয়েছে জানতে চাইলে, তৌহিদ হোসেন জানান, এটি বৈদেশিক কূটনৈতিক পত্র (নোট ভারবাল) হিসেবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো উত্তর আসেনি। তিনি আরও বলেন, এত তাড়াতাড়ি উত্তর আশা করেন না, কারণ তিনি নিজেও এখনও আগের চিঠির উত্তর পাননি। একাদশ দিনের মধ্যে উত্তর পাওয়ার প্রত্যাশাও তিনি ব্যক্ত করেননি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভারতকে সেই দণ্ডিত ব্যক্তিদের হস্তান্তর করতে চিঠি দিয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের ২০ ও ২৭ ডিসেম্বর দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য চিঠি পাঠানো হয়।

শেখ হাসিনা যদি আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন, তা হলে ভারতীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণে আগ্রহী কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, তা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো দেগা বা সহায়তা থাকবে না, যদি না নির্বাচন কমিশন এ অনুমতি দেয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বিষয়ে পশ্চিমা দেশের কোনো চাপ নেই বলেও জানান তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য পশ্চিমাদের কাছ থেকে কোনো চাপ আসেনি।

এছাড়াও, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তপ্ত না করে এয়ারবাসের কেনাকাটার বিষয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, এই ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে না। বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত যেন তাঁদের দেশের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে পারেন, সেই প্রচেষ্টায় থাকবেন—এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, তিনি বলেন, এই বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে। রাষ্ট্রদূত বা বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এরপরও, তিনি জানান, মোটামুটি অনুভব করতে পারেন যে, কোন চাপের মধ্যে এই কেনাকাটার বিষয়টি হতে পারে না। কেনার বিষয়ে প্রধান দায়িত্বভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করা উচিৎ।

অবশেষে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতের অনুরোধে ঢাকার চিঠির বিষয়টি বিচারকেন্দ্রিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ বিবেচনা করে সমাধান করার প্রচেষ্টা চলছে। তারা দেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos