অ্যাশেজে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা

অ্যাশেজে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা

টেলিভিশনে একবার দেখানো হয়ছিল শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদকে, যা পার্থে টিভি আম্পায়ারের কক্ষে দেখা গিয়েছিল। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে স্ক্রিনের দিকে চোখ সেঁটে আছেন। এই দৃশ্যটি দেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা গর্বিত হতে পারেন। কারণ, এই মুহূর্তে অ্যাশেজে বাংলাদেশের একজন আম্পায়ার হিসেবে শরফুদ্দৌলার উপস্থিতি সত্যিই দুর্লভ ও গর্বের বিষয়। শরফুদ্দৌলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের গর্বিত প্রতিনিধি

টেলিভিশনে একবার দেখানো হয়ছিল শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদকে, যা পার্থে টিভি আম্পায়ারের কক্ষে দেখা গিয়েছিল। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে স্ক্রিনের দিকে চোখ সেঁটে আছেন। এই দৃশ্যটি দেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা গর্বিত হতে পারেন। কারণ, এই মুহূর্তে অ্যাশেজে বাংলাদেশের একজন আম্পায়ার হিসেবে শরফুদ্দৌলার উপস্থিতি সত্যিই দুর্লভ ও গর্বের বিষয়।

শরফুদ্দৌলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের গর্বিত প্রতিনিধি হয়ে আছেন। গত বছর মার্চে তিনি আইসিসির অ্যাডভাইসরি প্যানেলে বাংলার প্রথম আম্পায়ার হিসেবে স্থান গ্রহণ করেন। তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার দেখা মিলেছিল। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে সত্যিই আলোচিত করেন সম্ভবত গত বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সময়ে।

সেবার মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে টিভি আম্পায়ার হিসেবে তিনি প্রযুক্তির ব্যবহার না করেই নিজের চোখে দেখেই দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের জন্য তার প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক সমালোচকরাও। সাইমন টফলে, রিকি পন্টিন, রবি শাস্ত্রী ও মাইকেল ভন তার আলাদা প্রশংসা করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ায় সেই সফলতা তখন তার জন্য দরজা খুলে দেয়। এবার অ্যাশেজে শরফুদ্দৌলা দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকের মনেই, তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন, এর কারণ হিসেবে একটাই—তার স্বীকৃতি ও দক্ষতা। ৮ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে ডিআরএসে এই বছর সেরা পারফর্ম করা আইসিসির এলিট প্যানেল থেকে নির্বাচিত আম্পায়ারদের তালিকা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। সেখানে দেখা যায়, দেশের বাইরে থেকে অ্যাশেজে আম্পায়ার হিসেবে নিযুক্ত হয়নি বেশ কয়েকজন শীর্ষ আম্পায়ার।

আসল কারণ হলো, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সিরিজের সময় এই সিরিজে অংশ নিতে যে দুই দেশের আম্পায়ারদের নিযুক্ত করা হয়, তারা নিরপেক্ষ হতেই হয়। ফলে, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, রড টাকার, পল রেইফেল, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, রিচার্ড কেটেলবারো এই সিরিজে থাকছেন না।

নিরপেক্ষ দেশ থেকে নির্ধারিত অ্যাশেজের জন্য নিযুক্ত আম্পায়ারদের মধ্যে শুধু রয়েছে বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা, ভারতের নিতিন মেনন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। এর আগে, শরফুদ্দৌলার বিপক্ষে এই বছর ২৯টি রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তও এসেছে।

বর্তমানে পার্থে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন নিতিন মেনন ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। অন্যদিকে, শরফুদ্দৌলা থাকছেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। তবে ব্রিসবেনের টেস্টে তার ভূমিকা বদলে যাবে, সেখানে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে তাকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এই খবর শুনে হয়তো তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন, কারণ অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী সিরিজে বাংলাদেশের একজন আম্পায়ার হিসেবে শরফুদ্দৌলার উপস্থিতি সত্যিই এক অনন্য বিষয়। সিরিজের বাকি তিনটি টেস্টে অবশ্য তার পরিবর্তে দেখবেন নিতিন মেনন, জেফ ক্রো, আহসান রাজা ও ক্রিস গ্যাফানিকে। এই স্বীকৃতির জন্য তার প্রেরণা অনেক।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos