মাদুরো কেন ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু?

মাদুরো কেন ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু?

যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে দূরত্ব প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার হলেও এই দুই দেশকে প্রতিবেশী বলা হয় কারণ তাদের অবস্থান আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম পাড়ে। দুটি দেশই বৃহত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ হলেও, বন্ধুত্বের পরিবর্তে বর্তমানে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে কেন ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হলো? এর মূল

যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে দূরত্ব প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার হলেও এই দুই দেশকে প্রতিবেশী বলা হয় কারণ তাদের অবস্থান আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম পাড়ে। দুটি দেশই বৃহত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ হলেও, বন্ধুত্বের পরিবর্তে বর্তমানে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে কেন ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হলো? এর মূল কারণ হলো তাদের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা ও বৈচিত্র্য। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি, আর বিষয়টি মূলত তেল, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় মাদক চোরাকারবারিদের উপর নিয়মিত অভিযান চালানোর পরিকল্পনা জানিয়ে আসছে। তিনি চাচ্ছেন, দেশটির শাসককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। গত ২ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার একটি নৌযানে মার্কিন সেনাদের হামলায় ১১ জনের মৃত্যু ঘটে, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা ও ভাবনা ভাবনা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে ঝড় উঠেছে। ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৩ সালে এই দেশের তেলমজুৎ ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। সৌদি আরবের রয়েছে ২৬৭ বিলিয়ন ব্যারেল এবং ইরানের ২০৮ বিলিয়ন ব্যারেল। অন্যদিকে, মার্কিন মজুদ রয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের নবম অবস্থানে। মূলত, ভেনিজুয়েলায় তেল সম্পদের পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে পাঁচ গুণের বেশি। যেখানে ভেনেজুয়েলার আয়বিশেষ মূলত তেল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল, বর্তমানে তা কমে এসেছে। এই পরিস্থিতি বাস্তবে ইরাকের মতোই, যেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে তখন অভিযোগ ছিল, সেখানকার অস্ত্রের সন্ধান। পরে জানা যায়, এমন অস্ত্র ছিল না, বরং লক্ষ্য ছিল ইরাকের তেল ও গ্যাসের খনিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। সেই সময়ের ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন শত্রুতে পরিণত হয়ে ওঠেন, ঠিক যেমনটা এখন মাদুরো প্রসঙ্গে ভাবা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলাকে দক্ষিণ আমেরিকার ‘সাদ্দাম’ হিসেবে ভাবছে? তারা কি কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে? ইতোমধ্যে মার্কিন সেনারা প্রতিবেশী ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোয় সামরিক মহড়াও সম্পন্ন করেছে। তবে একই সাথে ট্রাম্প মাদুরোর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কি রকম দিক নেবে, তা এখনো অজানা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos