টিটিপাড়া আন্ডারপাস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন

টিটিপাড়া আন্ডারপাস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন

রাজধানীর টিটিপাড়া আন্ডারপাস দীর্ঘ অপেক্ষার পর শনিবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে ট্রেনের ট্র্যাফিকের পাশাপাশি সড়ক যানবাহনের চলাচল অনেকটাই নির্বিঘ্ন হবে, যা পথচারীদের দৈনন্দিন ভোগান্তি considerably কমিয়ে আনবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. শেখ মঈনুদ্দিন সকালে আন্ডারপাসটি পরিদর্শন করেন এবং জনসম্মুখে তা স্বচ্ছন্দে চালু করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ

রাজধানীর টিটিপাড়া আন্ডারপাস দীর্ঘ অপেক্ষার পর শনিবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে ট্রেনের ট্র্যাফিকের পাশাপাশি সড়ক যানবাহনের চলাচল অনেকটাই নির্বিঘ্ন হবে, যা পথচারীদের দৈনন্দিন ভোগান্তি considerably কমিয়ে আনবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. শেখ মঈনুদ্দিন সকালে আন্ডারপাসটি পরিদর্শন করেন এবং জনসম্মুখে তা স্বচ্ছন্দে চালু করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আন্ডারপাসটি একদিকে আতিশ দীপঙ্কর সড়ককে এবং অন্যদিকে কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোডকে সংযুক্ত করেছে। পূর্বে যেখানে লেভেল ক্রসিং ছিল, সেখানে এখন নির্মিত হয়েছে এই আধুনিক আন্ডারপাস। এটি মূলত ট্রেনের সাথে সড়ক চলাচলের সংঘর্ষ ঠেকানোর জন্য আধুনিকীকরণ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় দুই বছরের কাজ লেগেছে, যার ফলে চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পথটি। নতুন আন্ডারপাসটি মূল সড়কের নিচে প্রায় ১১ মিটার গভীরে অবস্থিত, যার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ মিটার এবং প্রশস্ততা ৩৫ মিটার। এতে ছয়টি লেন রয়েছে, যার চারটি মোটরযানের জন্য নির্ধারিত, যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ মিটার উচ্চতার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

উপযুক্ত সুবিধা হিসাবে উভয় পাশে পৃথক রিকশা ও সাইকেল লেন রয়েছে, এবং ফ্যাশনেবল, প্রশস্ত ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে।

মহাপরিচালক জানান, এই নির্মাণের মাধ্যমে ট্রেন উপরে চলবে এবং যানবাহন নিচ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। এছাড়া, সৌন্দর্যবর্ধক দিক নিয়েও আন্ডারপাসটি ডিজাইন করা হয়েছে। সড়কের মাঝখানে সুন্দর রঙের দাগ চিহ্ন, গাছের সারি এবং উজ্জ্বল ল্যাম্প পোস্ট সেট করা হয়েছে যা দেখাবার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।

বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা রোধে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও প্রচুর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পৃথক কূপ স্থাপন করা হয়েছে। এই প্লাম্বিং ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃষ্টির পানিকে দ্রুত ক্যাপচারে নিয়ে যায়, যেখানে চারটি ৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প পানির নিস্কাশন নিশ্চিত করে। নির্দিষ্ট খরচে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos