বৃহত্তর দল যদি রাস্তায় নামে, সংঘর্ষের আশঙ্কা: আমীর খসরু

বৃহত্তর দল যদি রাস্তায় নামে, সংঘর্ষের আশঙ্কা: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশে জনগণ কোনও পরিস্থিতিতে থাকতে চায় না যা সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনীতি দেখতে চায়। সব রাজনৈতিক দলই প্রতিবাদ করার অধিকার রাখে, কিন্তু সেটি যেন অপ্রয়োজনীয় সংঘর্ষে পরিণত না হয়, সেদিকে সবাই লক্ষ্য রাখা উচিত। তিনি প্রশ্ন করেন, বৃহত্তর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশে জনগণ কোনও পরিস্থিতিতে থাকতে চায় না যা সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনীতি দেখতে চায়। সব রাজনৈতিক দলই প্রতিবাদ করার অধিকার রাখে, কিন্তু সেটি যেন অপ্রয়োজনীয় সংঘর্ষে পরিণত না হয়, সেদিকে সবাই লক্ষ্য রাখা উচিত। তিনি প্রশ্ন করেন, বৃহত্তর দল যদি রাস্তায় নামে এবং তাদের প্রতিবাদে আরও দলজন রাস্তায় নামে, তবে এর ফল কী হবে—সংঘর্ষ কি ঘটবে না? তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি বড় কোনও দল বাংলাদেশে রাস্তায় নামে, তা হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যায়। এটাই কি আমরা চেয়েছি, যা থেকে শেখ হাসিনাকে উদ্যেশ্য করে আন্দোলন বা বিদ্রোহের আয়োজন করা হয়? শুক্রবার রাজধানীর এক হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি নামের একটি সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে তিনি এই কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটাই ‘অবসেসড’ বা মানসিকভাবে একমুখী হয়ে গেছে। কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের মধ্যে এমন মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে যে, তাদের মতো না হলে অন্য কোনও পথের কথা ভাবেও না। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাসের ভিত্তিতে একত্রে কাজ করতে হবে; যদি আবার নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে ঐকমত্য ভেঙে যায়, তাহলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ হবে। বিশ্বাস এবং সম্মতির ওপর ভিত্তি করে কাজ না করলে অস্থিরতা বাড়বে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার গত ১৭ বছর ধরে শাসনামলে দেশের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, কোনও দাবি বা দফা শুধুমাত্র আমাদের নয়, বরং সকলের। দাবি আদায়ের জন্য ঐক্য থাকার পাশাপাশি, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সেই ঐক্যকে অক্ষুণ্ণ রাখা। তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া দরকার; যেখানে বিবাদ আছে, সেই বিষয়ে জনগণের কাছে পরিষ্কার করা জরুরি।

গণভোট প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে গণভোটের ব্যবস্থা নেই। যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে গণভোটের প্রয়োজন হয়, তবে তা সংসদে পাস হয়ে এরপর জনমত গ্রহণের মাধ্যমে সম্ভব। তিনি আরও বলেন, কিছু শক্তিশালী পক্ষ এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। চট্টগ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বদ্ব্বের বিষয়েও নজরদারি থাকবে, এবং পরিস্থিতি যাতে অশান্তির দিকে না যায়, তা নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।

বৈঠকটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান। এতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডেপুটি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, এ অনুষ্ঠানে ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos