३० ছক্কায় ভরপুর ছিল নিউজিল্যান্ডের জয়

३० ছক্কায় ভরপুর ছিল নিউজিল্যান্ডের জয়

নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল বলের উপর ভিত্তি করে ঝাড়ু ঝাড়ি ছক্কায় ভর্তি। দুই দলের মিলিত ইনিংসে ২৪টি চার ও অসংখ্য ছক্কা হাঁকানো হয়েছে যার মধ্যে ৩০টি ছক্কা ছিল। ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জিতে যাবে। তবে শেষেরার সবকিছু পালটে যায় শেষ বলে ব্যাটার

নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল বলের উপর ভিত্তি করে ঝাড়ু ঝাড়ি ছক্কায় ভর্তি। দুই দলের মিলিত ইনিংসে ২৪টি চার ও অসংখ্য ছক্কা হাঁকানো হয়েছে যার মধ্যে ৩০টি ছক্কা ছিল। ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জিতে যাবে। তবে শেষেরার সবকিছু পালটে যায় শেষ বলে ব্যাটার ছক্কা মারতে না পারায়, নিউজিল্যান্ড ৩ রানে সেই চাপাপূর্ণ জয় অর্জন করে।

অকল্যান্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং শুরু করে নিউজিল্যান্ড। তাদের ওপেনার টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ে খুব শক্তিশালী সূচনা প্রদান করেন, তাঁদের প্রতিরোধ ৪৩ বলে ৫৫ রান। তবে, ৫৯ রানের মধ্যেই দুজনেরই বিদায় ঘটে। কনওয়ে ২৪ বলে ১৬ এবং রবিনসন ২৫ বলে ৩৯ রান করেন।

ওপেনারদের বিদায়ের পরে দলের ভিত শক্ত করতে রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল মোক্ষম অবদান রাখেন। রাচিন ১১ রানে থমকলেও, চাপম্যান ১৯ বলে ৭৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকান।

চাপম্যানের ফেরার পরে, দলের স্কোর ১৬৪ রানে পৌঁছানোর জন্য ক্রমাগত ঝঞ্ঝাটের মাঝে, মিচেল ও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার জুটি গড়ে ২০৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দেন। মিচেল ১৪ বলে ২৮ এবং স্যান্টনার ৮ বলেই ১৮ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার রোস্টন চেজ ২ উইকেট শিকার করেন।

২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তারা বিপর্যস্ত হয়। ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং খালি হাতে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেটে, ৪১ বলের মধ্যে ৪৯ রানের মূল্যবান জুটি গড়ে অ্যালিক আথানাজে ও শাই হোপ দলকে লড়াই চালিয়ে নেন।

এরপর, স্লোডাউনের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা বারংবার উইকেট তুলে নেয়। সামনের দিকে এসে, ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ছোট হয়ে যায়। আথানাজেকে ৩৩, আকিম অগাস্টকে ৭ ও হোল্ডারকে ১৬ রানে শিকার করেন সোধি। অন্যদিকে, চেজ ও হোপকে আলাদা আলাদা করেও উইকেট তুলে নেন স্যান্টনার।

অবশিষ্ট সময়, রোমারিও শেফার্ড ও রোভম্যান পাওয়েল দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। তারা ২৪ বলে ৬২ রানের ঝড়ো জুটিতে ম্যাচের রং বদলে দেন। যখন শেফার্ড আউট হন, তখন ১৯ বলের মধ্যে ৫৩ রান দরকার ছিল। পাওয়েল ও ফোর্ড শেষ মুহূর্তে ভালো সংগ্রহ চেষ্টা করেন, তবে শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫ রান।

নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসন শেষ ওভারের প্রথম তিন বল থেকে ১০ রান সংগ্রহ করেন, পাওয়েল ও ফোর্ড অরক্ষিত থাকলেও, ফোর্ড ১ রানে আউট হয়ে যান। শেষ বলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে ছিল ৫ রান, কিন্তু তারা তা এড়াতে পারেননি। ফলে, ক্যারিবীয়রা ম্যাচটি ৩ রানে হার মানে।

পাওয়েল ১৬ বলের ইনিংসে ৪৫ রান করে শীর্ষ চারে থাকেন, শেফার্ড করেন ১৬ বলে ৩৪ ও ফোর্ড অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৯ রান করে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের সোধি ও স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন নিউজিল্যান্ডের চাপম্যান।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos