বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি নতুন ড্রোন উৎপাদন কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। এই উদ্যোগটি উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পে বিনিয়োগের ধারাকে আরও সম্প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে বেপজা ইজেড-এ দ্বিতীয় ড্রোন উৎপাদন কারখানা। চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি এরোসিন्थ লিমিটেড এই প্রকল্পে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি নতুন ড্রোন উৎপাদন কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। এই উদ্যোগটি উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পে বিনিয়োগের ধারাকে আরও সম্প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে বেপজা ইজেড-এ দ্বিতীয় ড্রোন উৎপাদন কারখানা।
চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি এরোসিন्थ লিমিটেড এই প্রকল্পে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এই কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে খেলনা ড্রোন, মাছ ধরা ড্রোন, এবং হালকা পণ্য ডেলিভারির জন্য ডিজাইন করা ড্রোন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কারখানাটি বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট ড্রোন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, এর ফলে কমপক্ষে ৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান হবে।
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম ড্রোন উৎপাদন প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়নের مراحل চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষিতে কীটনাশক স্প্রে, অগ্নিনিরাপত্তা, জরুরি উদ্ধার, পণ্য বিতরণ, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ম্যাপিংয়ের জন্য ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগ বেপজার শিল্পখাতের বৈচিত্র্য ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং এরোসিন্থ লিমিটেডের প্রতিনিধি মিজ হু ড্যানড্যান স্বাক্ষর করেন। এ সময় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।
বেপজার চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে উচ্চ-প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের জন্য বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং এরোসিন্থ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও সহজতর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বেপজার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে, দেশের এই অঞ্চলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এই শিল্পগুলো প্রায় ৪০০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং ১৯.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। শীঘ্রই আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে, যা বেপজার শিল্পখাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (অর্থ) আ. ফ. ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশিদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মো. আরিফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজ, ও এরোসিন্থ লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।











