বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়া ও গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর), বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব অভিযানে বিদেশি বিভিন্ন মাদক ও চোরাচালানী পণ্য মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে। প্রথমে, ৩ নভেম্বর রাত ৮টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়া ও গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর), বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব অভিযানে বিদেশি বিভিন্ন মাদক ও চোরাচালানী পণ্য মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে।
প্রথমে, ৩ নভেম্বর রাত ৮টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নিমতলা নওদাপাড়া হাইওয়ে রোডে অভিযান চালিয়ে বিজিবির টহল দল একটি বাসের ভেতর থেকে অনির্ধারিত সংখ্যক ইয়াবা, ভারতীয় হেরোইন ও হরেক ধরনের বাজি জব্দ করে।তল্লাশি চালিয়ে ঐ বাসের মালিকবিহীন অবস্থায় ৪৭০১ পিস ইয়াবা, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩০০ টাকা, উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, ৪ নভেম্বর গভীর রাতে গাংনী উপজেলার সীমান্তের কাজীপুর বিওপির সদস্যরা সীমান্ত পিলার ১৪৫/২-এস থেকে ২০০ গজ ভিতরে অভিযান চালান। তারা মালিকবিহীন অবস্থায় ৫৬ বোতল ভারতীয় মদ এবং ২৭০০ পিস চকলেট বাজি উদ্ধার করেন, যার মোট মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়াও, একই দিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে দৌলতপুর সিমান্তের চল্লিশপাড়া বিওপির টহল দল চরপাড়া বাজারে অভিযান চালিয়ে মো. মেহেদী হালসানাকে (পিতা: মৃত ইব্রাহিম হালসানা) ৪ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে। এর মূল্য প্রায় ২ হাজার ২০০ টাকা।
বিজিবি জানিয়েছে, এসব অভিযানে উদ্ধারকৃত মাদক ও চোরাচালানী মালামালের মোট সিজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আটক ব্যক্তিকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করে চোরাচালানী মালামাল ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন সিজার স্টোরে সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান দমন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে বিজিবি। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যাতে অবৈধ কার্যক্রম রুখে দেয়া যায়।”











