রাশিয়ার পরমাণু পরীক্ষা: ট্রাম্পের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পরিকল্পিত কি ধরণের বার্তা?

রাশিয়ার পরমাণু পরীক্ষা: ট্রাম্পের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পরিকল্পিত কি ধরণের বার্তা?

অসলেত, রাশিয়া সম্প্রতি দুটি পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এসব পরীক্ষা কি কোনও নোটিশ বা বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছু একটা মনে করিয়ে দেওয়া? দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় রয়েছে রাশিয়ার এই ধরনের পরমাণু শক্তির পরীক্ষাগুলো, যা এখন অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে কারণ

অসলেত, রাশিয়া সম্প্রতি দুটি পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এসব পরীক্ষা কি কোনও নোটিশ বা বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছু একটা মনে করিয়ে দেওয়া? দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় রয়েছে রাশিয়ার এই ধরনের পরমাণু শক্তির পরীক্ষাগুলো, যা এখন অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে কারণ এবারই প্রথম নয়। সম্প্রতি, ক্রেমলিনের পরিচালিত এই পরীক্ষাগুলোর ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাশিয়া কি ধরণের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়। বিশেষ করে, এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরেভেস্টনিক ক্ষেপণাস্ত্র, একটি পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা খুব কম উচ্চতায় উড়ে গিয়ে ধ্বংস করতে পারে। এর পাশাপাশি, পোসেইডন ড্রোনের পরীক্ষাও সফল হয়েছে, যা সমুদ্রের নিচ দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর সক্ষমতা রয়েছে। এইসব পরীক্ষার ঘোষণা নিজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিয়েছেন, যেখানে তিনি জানান, সময় বুঝে এগুলো পরিকল্পিত। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবী, এই পরীক্ষাগুলো আসলে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, যা এখন কার্যকর হলো। এর অর্থ হলো, রাশিয়া যেন নিজেদের ক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে আমেরিকাকে একটা বার্তা পাঠাতে চায়। এক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত রাশিয়া এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্পের উপর চাপ সৃষ্টি করে আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া তার পরমাণু শক্তি দেখিয়ে বোঝাতে চাইছে যে, তাদেরও রয়েছে বিশ্বমানের সক্ষমতা। একই সঙ্গে, ক্রেমলিন এই বার্তাও দিয়েছে যে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বা যুদ্ধের সমাধানে এগোলে লাভ হবে না, বরং এতে কোনও সমাধান আসবে না। এর মাধ্যমে রাশিয়া স্বধর্মে দাঁড়িয়ে বলছে, যুদ্ধের সমাধান কেবল আলোচনাতেই possible। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দেখা গেছে, তিনি এখনও ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে বিবেচনায় আছেন। হালেতু, বহু বৈঠক ও ফোনালাপ ব্যর্থ হওয়ার পর, তিনি জানিয়েছেন, যদি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে কোনও ইতিবাচক অঙ্গীকার থাকে, তবে তিনি আবার পুতিনের সাথে মুখোমুখি হবেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমি দেশগুলো এখনো রুশ-বিরোধী বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক বিধিনিষেধে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, রাশিয়ার পরমাণু পরীক্ষাগুলো আবারও দেখিয়ে দিল, তারা বড় শক্তি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায়। এই সবকিছু চলছে যখন, আন্তর্জাতিক মহল এই নতুন উসকানি আর পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos