জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো উদ্যোগ অগ্রগতি করতে পারে না: হোসেন জিল্লুর

জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো উদ্যোগ অগ্রগতি করতে পারে না: হোসেন জিল্লুর

জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনও উদ্যোগই সমাজে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র শুধুই শাসন ব্যবস্থা নয়, এটি একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণকে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করতে হবে। তার মতে, গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া যায় না; বরং জনগণের

জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনও উদ্যোগই সমাজে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র শুধুই শাসন ব্যবস্থা নয়, এটি একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণকে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করতে হবে। তার মতে, গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া যায় না; বরং জনগণের কাছে সেটি গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। কারণ, জনগণই সমাজের চূড়ান্ত অভিভাবক।

গতকাল বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত ‘ইউথ পারসপেকটিভস অন স্যোশাল প্রোগ্রেস: গ্রাসরুটস, নেটওয়ার্কস অ্যান্ড লিডারশিপ ভয়েসেস’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল পিআরসি-র পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, বিনা সক্রিয়তা এবং সাধারণ অসচেতনতার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হলেও, সংকটের মধ্যেও পরিবর্তন সম্ভব। সেই দৃঢ়বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস সঙ্গে রাখতে হবে এবং পরিবর্তনের জন্য বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সম্মেলনের শুরুতে তিনি এই বিষয়টিকে একান্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে বলেন, তরুণদের কথা শোনা এবং তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো বোঝার প্রয়োজন। তরুণলরা কীভাবে সমাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, সমাজের পরিবর্তন ও স্বপ্নের দিকে তাঁরা কীভাবে দৃষ্টি দিচ্ছেন, এই প্রক্রিয়ায় তাঁরা কীভাবে অংশগ্রহণ করবেন—এমন বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর আন্দোলনের পর যে পরিবর্তনগুলো এসেছে, সেগুলোর মূল ধারায় রয়েছে ‘ইনক্লুসিভিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ ও ‘কালেক্টিভ অ্যাকশন’। তিনি মনে করেন, সমাজে একটি সার্বজনীন সৌন্দর্য ও সমতা আনতে হলে কেবল তরুণ নয়, সব প্রজন্মের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তাহলেই একটি স্বীকৃত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos