জাতীয় নির্বাচনের আগে বা দিনে গণভোটের সুপারিশ

জাতীয় নির্বাচনের আগে বা দিনে গণভোটের সুপারিশ

নির্বাচনের নীতিগত ভিত্তি সুদৃঢ় করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে বলা হয়, জুলাই সনদের অনুসারে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এটি সম্পন্ন করতে গেলে, আগামী জাতীয় সংসদ তাদের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবে না। বরং, সংসদীয় নির্বাচনের দিন বা তার আগে

নির্বাচনের নীতিগত ভিত্তি সুদৃঢ় করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে বলা হয়, জুলাই সনদের অনুসারে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এটি সম্পন্ন করতে গেলে, আগামী জাতীয় সংসদ তাদের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবে না। বরং, সংসদীয় নির্বাচনের দিন বা তার আগে একটি গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এই সুপারিশটি মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের অংশগ্রহণ। তাই, সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি গণভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এখনো সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য রয়েছে।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকারকে বলেছি যে, তারা যেন সংসদের সাধারণ নির্বাচনের দিন বা তার আগে যেকোনো দিন একটি গণভোটের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে জনমত জানা সম্ভব হবে। সরকারের কাছ থেকেও ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করছে এবং একটি নির্ধারিত নিদিষ্ট সময়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সংবিধানে সংশোধন আনতে গেলে আইনী ভিত্তি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন বিকল্প উপায় রয়েছে, যেমন সাংবিধানিক বিষয়গুলোকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন ও সরকারি নির্দেশনা দিয়ে দ্রুত কার্যকর করা।

অন্যদিকে, সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি পৃথক প্রস্তাব তৈরি করে সংসদে পাঠানোর প্রস্তাবও রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রস্তাবগুলো যদি সংসদে অনুমোদিত না হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। পাশাপাশি, সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গণভোটে জনগণের সম্মতি পেলে, ৪৫ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হতে পারে।

কমিশন আরও জানিয়েছে, কয়েকটি বিষয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। যেমন, উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, ডিজিটাইজেশন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, আইনজীবীদের আচরণবিধি জারির মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন এবং নতুন প্রশাসনিক বিভাগ স্থাপন। এসবের মাধ্যমে দেশের বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও আধুনিক করা সম্ভব হবে।

অতিরিক্ত, জরিপের মাধ্যমে উপজেলাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, নানা প্রযুক্তিগত অটোমেশন এবং ওপেন গভর্নমেন্ট নীতির বাস্তবায়নেও গুরুত্বারোপ করেছে কমিশন।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, এর মাধ্যমে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে গেলে সংসদ ও সরকার দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সরকারকে বলেছে, তারা যেন অবিলম্বে সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটের আয়োজন করে, যাতে জনগণের মতামত স্পষ্টভাবে জানার সুযোগ হয়। তিনি জানান, এসব সুপারিশে সরকারের ভিন্নমত বা আপত্তি নেই এবং সংবিধান সংশোধনে দূরদর্শী ও যুক্তিযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos