চার মাসে মোংলায় ২৫৫টি বিদেশি জাহাজ নোঙর

চার মাসে মোংলায় ২৫৫টি বিদেশি জাহাজ নোঙর

মোংলা, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে এই অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে ২৫৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের ট্রাফিক এবং রাজস্ব আয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ) জানিয়েছে, এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ এসে নির্ধারিত নোঙরস্থলে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি জাহাজ ১০,৬০৮ টিইইউ কন্টেইনার বহন করছে এবং ১০টি জাহাজ বিভিন্ন

মোংলা, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরে এই অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে ২৫৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের ট্রাফিক এবং রাজস্ব আয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ) জানিয়েছে, এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ এসে নির্ধারিত নোঙরস্থলে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি জাহাজ ১০,৬০৮ টিইইউ কন্টেইনার বহন করছে এবং ১০টি জাহাজ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩,২৫৩টি গাড়ি আমদানি করেছে। এগুলোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসমূহ দেশ الداخل ও বিদেশি বাজারে প্রবাহিত হচ্ছে। এমপিএর উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে মোট ৪৭ লাখ টন পণ্য পরিচালনা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজতর করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো বন্দরের এই অগ্রগতি ও বর্ধিত কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বন্দরে ২২৭টি বিদেশি জাহাজ, যেগুলো সার, ক্লিংকার, এলপি গ্যাস, কয়লা ও পাথর বহন করছে, নোঙর করে রয়েছে। এই জাহাজগুলো হারবাড়িয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা এবং মুরিং বোয়া এলাকা থেকে সুবিধাজনক স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করছে। বন্দরে পৌঁছানো পণ্যসমূহের মধ্যে খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি উল্লেখযোগ্য। রপ্তানির পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, মাটির টাইলস, রেশম কাপড় এবং অন্যান্য সাধারণ পণ্য। এছাড়াও, মোংলার মাধ্যমে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিতে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কারণ আমদানিকারকরা এই সুবিধার ব্যাপক ব্যবহার করছে। বন্দরের স্বল্প ধারণক্ষমতা থাকলেও মোট ৪০ শতাংশ ধারে এখনো উপলব্ধ রয়েছে। এদিকে, এ বছর বন্দর ব্যবহারে কোনো করের বৃদ্ধি হয়নি। এসব উদ্যোগ ও সুবিধাগুলি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সুফল নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos