বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে সৃষ্টি हुआ গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, যা বেশ কিছু সময় ধরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে। সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর -৫ এ এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে সৃষ্টি हुआ গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, যা বেশ কিছু সময় ধরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর -৫ এ এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৩টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১৩০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দরের কাছাকাছি ১২৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে ধীরে ধীরে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এবং এর আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থেকে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬২ কিলোমিটার, তবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার প্রবণতা থাকায় তা বাড়ছে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সমুদ্রস্রোত এবং ঢেউয়ের তীব্রতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকায় খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
প্রেক্ষাপটে, সংকেত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগে জারি করা ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যেতে এবং উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশের উপকূলীয় এলাকায় মাছধরা জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ বড় ঢেউ ও প্রচণ্ড আবহাওয়ার কারণে পরিস্থিতি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।











