ইংল্যান্ডের কাছে বড় জয় রেকর্ড রান তাড়া করে

ইংল্যান্ডের কাছে বড় জয় রেকর্ড রান তাড়া করে

ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের জন্য জিততে হলে রান তাড়া করে রেকর্ড গড়া এক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তারা সেটাই করতে পারেনি। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথমে দলের ১৭১ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৫ রানে হেরে যায় তারা, ফলে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের প্রথমটি বাতিল

ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের জন্য জিততে হলে রান তাড়া করে রেকর্ড গড়া এক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তারা সেটাই করতে পারেনি। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথমে দলের ১৭১ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৫ রানে হেরে যায় তারা, ফলে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের প্রথমটি বাতিল হওয়ায় এই সিরিজে জয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২৩ অক্টোবর অকল্যান্ডে শেষ টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে।

নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড রান তাড়া করার ধারাবাহিকতা ছিল ২০১ রানের, যা ২০১২ সালে হামিল্টনে রব নিকোল ও জেমস ফ্রাঙ্কলিনের অবিশ্বাস্য জোড়া অর্ধশতকের মাধ্যমে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারানোর সময় গড়েছিল। সেই রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে ছিল, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তারা বড় ইনিংসও খেলেনি, বরং বিশাল লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার সেইফার্ট, ৩৯, আর অধিনায়ক স্যান্টনার শেষ দিকে ২৪০ স্ট্রাইক রেটে ৩৬ রান করে হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন।

খেলা শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৮ রানে ফিরে যান টিম রবিনসন ও রাচিন, তবে সেইফার্টের সাথে ৬৯ রানে জুটি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর ৪ রান ব্যবধানে দুই ব্যাটার ফিরে গেলে দলটি পথ হারায়। সপ্তম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে জিমি নিশাম ও স্যান্টনার। ব্রাইডন কার্সের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের, তবে আদিল রশিদ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের বিপর্যয় রুখে দেন। অন্যদিকে, উড ও ডাওসন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেয়, ফলে ইংল্যান্ডের পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে হুমকি।

অর্থাৎ, শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রাইস্টচার্চে ঝড় তোলেন হ্যারি ব্রুক ও ফিল সল্ট। সল্ট ৮৫ রান করে বেশিক্ষণ থাকেননি, তবে ১৫১.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ১১ চারে নিজের ভূমিকা রেখেছেন। তার চেয়ে আরও বিধ্বংসী ছিলেন ব্রুক, যিনি ৭৮ রান করে ২২২.৮৫ স্ট্রাইক রেটে ৬ চারে মারলেন ৫ ছক্কা। এই দুজনের ফিফটি জুটিতে ইংল্যান্ড ২৩৬ রান সংগ্রহ করে, যদিও রান তাড়া করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ম্যাচটি একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে — দুই দলের মোট ৪০৭ রান, যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালে নেপিয়ারে দুই দল এই রেকর্ড করেছিল, যার সর্বোচ্চ ছিল ৪০৬ রান।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos