ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনা

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্প গভীর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে শীর্ষ ৪৫টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এই ক্ষতি ভারতের কাছ থেকে নেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস সেবহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীতে বেশি। এর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্প গভীর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে শীর্ষ ৪৫টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে। এই ক্ষতি ভারতের কাছ থেকে নেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস সেবহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীতে বেশি। এর ফলে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৩০৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২৫০টি সক্রিয়ভাবে উৎপাদন চালাচ্ছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শুধু শীর্ষ ৪৫ কোম্পানিরই কিছু কাঁচামাল পুড়ে গেছে, তবে সকল ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। অগ্নিকাণ্ডে অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যান্সার নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণও পুড়ে গেছে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুনরায় আমদানি করতে হবে যা দেরি ও ব্যয়বহুল, ফলে উৎপাদন ও রপ্তানি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। বাপির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, এই অগ্নিকাণ্ড দেশের অর্থনৈতিক ও জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্পন্ন ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়, তবে এই ক্ষতি উৎপাদন চেইনে বড় ধাক্কা লাগিয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধের প্রায় ৯০% কাঁচামাল আসে বিভিন্ন এলাকা থেকে, যেখানে চীন, ভারত ও ইউরোপের অবদান বেশি। যেহেতু এই কাঁচামাল আকাশপথে আসা, কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় অনেক মূল্যবান উপকরণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি, নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদিত পণ্যগুলোর পুনরায় আনয়নও জটিল ও সময়সাপেক্ষ। ডা. জাকির হোসেন বলেন, এই ক্ষতির প্রভাব সরাসরি কাঁচামালের বাইরে গিয়েও বিস্তৃত হবে, কারণ একটি র-এশড উপকরণ হারালে তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি অন্যান্য পণ্যগুলোর উৎপাদনই অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে তাড়াতাড়ি তদন্ত, ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প কার্গো ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। 전체 পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন उद्योगের নেতা ও সংশ্লিষ্ট সবাই।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos