নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নেতৃত্বে এক বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা। এরই অংশ হিসেবে, এবার নির্বাচনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নেতৃত্বে এক বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা। এরই অংশ হিসেবে, এবার নির্বাচনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এছাড়াও নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই প্রযুক্তিনির্ভর বিভ্রান্তিকর তথ্য বন্ধে বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায়, যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে কমিশন ভবিষ্যতের বিভিন্ন নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের জন্য নির্দেশনা দেয়।

নির্বাচনী নিরাপত্তা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথমে, নির্বাচন আগের অব্যাহতিপূর্বে—অপরাধ বন্ধ, অস্ত্র উদ্ধার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন চলাকালে—সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, এমবুলেন্স, গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন। আর তৃতীয় পর্যায়ে, নির্বাচন শেষে—সহিংসতা প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নাইট ডিউটি, বিচার ও পরবর্তী তদন্ত।

প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, দৃষ্টি আকর্ষণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ও অন্যান্য প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ আরও গুরুত্ব দিয়ে বলেছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে, ও নির্বাচনকালীন অপুর্ব পরিস্থিতি এড়াতে সকল স্থানীয় ও জাতীয় বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

বিশেষ করে, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব আইনি ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রবাসী ও পোস্টাল ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাকবিভাগ, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের মধ্যে সমন্বয়কারী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশ্যই, জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচন গোপনীয়তা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনী ও ড্রোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অননুমোদিত ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো এবং গোপনীয়তা রক্ষা সম্ভব হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে যেন নির্বিঘ্ন এবং সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos