যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৮ জন নিহত

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৮ জন নিহত

যদিও একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করা হয়েছিল, তবুও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চালানো অব্যাহত রয়েছে। ভূমিকা লক্ষ্য করে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস এই হামলাগুলিকে স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি জোর দিচ্ছে যাতে তারা ইসরায়েলর ওপর চাপ সৃষ্টি করে চুক্তি মানতে বাধ্য করে। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে,

যদিও একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করা হয়েছিল, তবুও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চালানো অব্যাহত রয়েছে। ভূমিকা লক্ষ্য করে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস এই হামলাগুলিকে স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি জোর দিচ্ছে যাতে তারা ইসরায়েলর ওপর চাপ সৃষ্টি করে চুক্তি মানতে বাধ্য করে। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা যুদ্ধবিরতির বিশ্বাসযোগ্যতাকেQuestionে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যদি এই গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আরও অপ্রতিরোধ্য রক্তপাতের আশংকা বাড়বে। তারা আরও জানিয়েছে, তারা রেড ক্রসের মাধ্যমে এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এগুলাৎ, গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখনো মারাত্মক। জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার প্রত্যাশিত ত্রাণ সরবরাহ ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকরা খাবার, পানির সংকট এবং চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চলতি বছর অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৭,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৭০,০০০ এর বেশি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। নতুন এই হামলার ফলে আন্তর্জাতিক মহল বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কারণ পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ না হয়, তবে সংঘাত আরও তীব্র রূপ নিতে পারে। একই সময়ে, গাজা শহরের পূর্ব আল-জেইতুন এলাকায় কোনো সতর্কতা না দিয়ে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একই পরিবারের ১১ জন নিহত হয়েছে। বাসাল বলেন, এই হামলায় সাত শিশু এবং দুই নারীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নিহত হয়েছে। ‘হলুদ রেখা’ হলো একটি সীমান্ত যেখানে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে। এই রেখা দিয়ে গাজার বিভিন্ন এলাকাকে আলাদা করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই পরিবারের সদস্যদের জন্য কোনো সতর্কতা দেয়া হয়নি, যা দখলদারদের রক্তপিপ্যাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আরও আক্রমণের নির্দেশ দেয়। ১০ অক্টোবর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে গাজা ও ইসরায়েলির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই চুক্তির আওতায় গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রাথমিকভাবে আংশিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত নূতন হামলার কারণে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। গাজার স্বাস্থ্য দফতর বলছে, এই সময়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬৮,০০০ এর বেশি এবং আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। বহু মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছরের নভেম্বর মাসে নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, অর্থাৎ ইসরায়েলে সংঘটিত যুদ্ধের জন্য তারা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে, গাজা ও পশ্চিম তীরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আটক করা হলেও তাদের মুক্তির পরবর্তী অবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে খুবই উপেক্ষিত। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা মিডিয়ায় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইসরায়েলি বন্দিদের অবস্থা ও মুক্তির খবর ব্যাপক প্রচার পেলেও, গাজা ও পশ্চিম তীরের বন্দিদের অবস্থা খুবই দামী। লন্ডনভিত্তিক কাউন্সিল ফর আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের প্রধান ক্রিস ডয়েল বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলি বন্দিদের ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হলেও, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পরের অবস্থা, নির্যাতন ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ব্যাপারে খুবই কম আলোচনা হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, এই বিষয়গুলো মানবাধিকার পরিস্থিতির এক চরম অবমূল্যায়ন। ডয়েল আরও বলেছেন, ট্রাম্পের ২০-দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায়, যেখানে ইসরায়েল কিভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আসবে তার কোন উল্লেখ নেই, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, অপরাধ বা দায় নির্ধারণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা থাকা দরকার, যা এই পরিকল্পনায় অনুপস্থিত, কারণ যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কোন বিচারের মূল্যায়নে রাজি নয়। বর্তমানে, চলমান যুদ্ধের অবসানে মার্কিন-সমর্থিত চুক্তির পর গাজায় ব্যাপক গণহত্যার স্তর পৌঁছেছে। ইসরায়েলি বর্বরতা ও হামাসের সঙ্গে সংঘাতের ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এই বছর শুরু থেকেই ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় নতুন করে সাহায্য ও খাদ্য বিতরণ উদ্যোগ চালু করে, যা মার্কিন সমর্থনে হলেও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। খাদ্য ও ওষুধের জন্য জিজ্ঞেস করতে আসা বাসিন্দাদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে, যার ফলে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় মারাত্মক রুপ নিয়েছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos