কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ধনু নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ২ দিনের বেশি সময় পর পুলিশ ওই জেলেকে সনাক্ত করে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শিমুলবাঁক গ্রামের পাশের ধনু নদী থেকে শ্রীকৃষ্ণ দাস (৫০)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের মৃত রসিক দাসের ছেলে। ইটনা ধনপুর নৌপুলিশের
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ধনু নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ২ দিনের বেশি সময় পর পুলিশ ওই জেলেকে সনাক্ত করে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শিমুলবাঁক গ্রামের পাশের ধনু নদী থেকে শ্রীকৃষ্ণ দাস (৫০)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের মৃত রসিক দাসের ছেলে।
ইটনা ধনপুর নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, “রবিবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি।”
এর আগে, শুক্রবার ভোর ৭টার দিকে শ্রীকৃষ্ণ দাস তার নিজ বাড়ির পাশের ধনু নদীতে একটি ডিঙি নৌকা দিয়ে মাছ ধরতে যান। কিছুক্ষণ পর, অন্যান্য জেলেরা দেখেন যে তার নৌকায় জাল ও মোবাইল ফোন পড়ে আছে, কিন্তু তিনি নেই। বেশ কয়েক ঘণ্টার অনুসন্ধানে তার কোন সন্ধান পায়নি এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিক দাস জানিয়েছেন, “দুই বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ দাসের স্ত্রী মারা যান। তিনি একটি মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।”
এসআই নিখিল চন্দ্র দাস আরও জানান, শ্রীকৃষ্ণ দাস কয়েকদিন ধরে জ্বর ও অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। তারপরও জীবিকার তাগিদে তিনি মাছ ধরতে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বল শরীরের কারণে মাছ শিকারকালে নদীতে পড়ে যান এবং ডুবে মারা গেছেন।