২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫৮টি পরিবার ও ২০২১ সালের মার্চ মাসে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বিশেষ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫৮টি পরিবার ও ২০২১ সালের মার্চ মাসে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বিশেষ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেনও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে নিহত শহীদ পরিবারের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকার তাদের গভীর সম্মান ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। শাপলা চত্বর ও মোদি বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের। ইতিহাস থেকে যেনো কেউ এই শহীদদের নাম মুছে ফেলতে না পারে, তাই শাপলা চত্বরের ইতিহাস চিরন্তন স্মরণীয় করে রাখতে সেখানে নাম খোদাই করে রাখা হবে।”
বিশেষ অতিথি ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “শাপলা চত্বর ও মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, “এটি এক মহান উদ্যোগ, যা সারা বাংলার আলেম সমাজকে সম্মানিত করেছে।”
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ শাহজাহান মিয়া।