কুমিল্লা শহরের রেসকোর্স এলাকার নিজ বাসা থেকে মিলন আক্তার নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটের খাটের নিচ থেকে তার মরদেহোপলদ্ধ করা হয়। নিহত মিলন আক্তার বুড়িচং উপজেলার নিমসার (শিকারপুর) গ্রামে তার পরিবারের সাথে থাকতেন। তিনি রেসকোর্স মজুমদার ভিলায় বসবাস করতেন। জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে মিলনের বিবাহবিচ্ছেদ
কুমিল্লা শহরের রেসকোর্স এলাকার নিজ বাসা থেকে মিলন আক্তার নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটের খাটের নিচ থেকে তার মরদেহোপলদ্ধ করা হয়। নিহত মিলন আক্তার বুড়িচং উপজেলার নিমসার (শিকারপুর) গ্রামে তার পরিবারের সাথে থাকতেন। তিনি রেসকোর্স মজুমদার ভিলায় বসবাস করতেন। জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে মিলনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তিনি একাই থাকতেন, তবে তার মা নোয়াখালীতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন চার-পাঁচ দিন আগে। এই সময়ে তিনি মায়ের সাথে থাকতেন না। তাদের তিন মেয়ে, যার মধ্যে একজন থাকেন ইউরোপে স্বামীসহ, অন্যজন বিবাহসূত্রে নোয়াখালীতে থাকেন, আর তানজিনা আক্তার নামে অন্য এক মেয়ে রেসকোর্স এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার থেকেই তানজিনা তার মাকে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন, কিন্তু মায়ের কোনো সাড়া না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসে দরজা খোলার পর খাটের নিচে তার মরদেহ দেখে আঁচ করেন তিনি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ভাতিজা মো. মাসুদ বলেন, ‘গতকাল সকালে ফুফুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আজ শুনেছি ফুফু মারা গেছে। কিন্তু খাটের নিচে মরদেহ কীভাবে পড়লো সেটি নিশ্চয়ই হত্যাকাণ্ড। সেখানে একটি ছুরিও পাওয়া গেছে।’ কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক ধারণা করছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।