আরো ৫টি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সার্টিফিকেশন

আরো ৫টি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সার্টিফিকেশন

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন উদ্যোগ আরও এগিয়ে গেল। সম্প্রতি, পাঁচটি কারখানা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ লাভ করেছে, যার ফলে দেশের পরিবেশগত অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হলো। এই অর্জন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিশ্বব্যাপী প্রতিিমাণে পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ ২৬৮টি কারখানা লিড (Leadership in Energy and Environmental Design) সার্টিফিকেশন

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন উদ্যোগ আরও এগিয়ে গেল। সম্প্রতি, পাঁচটি কারখানা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ লাভ করেছে, যার ফলে দেশের পরিবেশগত অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হলো। এই অর্জন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিশ্বব্যাপী প্রতিিমাণে পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ ২৬৮টি কারখানা লিড (Leadership in Energy and Environmental Design) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। এর মধ্যে ১১৪টি পেয়েছে প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন এবং ১৩৫টি গোল্ড সার্টিফিকেশন, যা দেশের সবুজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরে অগ্রগতি নির্দেশ করে।

নতুন করে এই পাঁচটি কারখানা হলো: পাকিস্তিয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড, সাভার, ঢাকা; ফ্যাশন পালস লিমিটেড, বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ঢাকা; গাভা প্রাইভেট লিমিটেড, ঢাকা; ভিজুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড, চট্টগ্রাম; এবং ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড, চট্টগ্রাম। এই কারখানাগুলো লিড প্লাটিনাম এবং গোল্ড সার্টিফিকেশন লাভ করেছে, যা তাদের জ্বালানি, পানির ব্যবহারে দক্ষতা, কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস ও কর্মপরিবেশের মান উন্নীতকরণের প্রতিষ্ঠায় এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

এই সংযোজনগুলো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উৎপাদন ও সবুজ রূপান্তরের ধারাবাহিক অগ্রগতিকে আরও দৃঢ় করেছে। গত এক দশকে, দেশের তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব কার্যপ্রণালি গ্রহণ করে প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য এক দায়িত্বশীল ও উন্নতশীল গার্মেন্টস উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে।

এই সার্টিফিকেশনগুলো পরিচালিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইইউজিবিসি) কঠোর টেকসই মানদণ্ড অনুসরণ করে, যেখানে জ্বালানি এবং পানির ব্যবহার দক্ষতা, কার্বন নির্গমন কমানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা ও শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সাফল্যের পেছনে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভূমিকা এবং সরকারের সবুজ শিল্পায়নে সহযোগী নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ। এইসব অগ্রগতি বাংলাদেশের এই শিল্পকে একটি দায়িত্বশীল, টেকসই ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্পগোষ্ঠীতে পরিণত করছে। এটি শুধু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক নয়, পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos