গাজার শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন সেখানে মারাত্মক হট্টগোল শুরু হয়। এক আইনপ্রণেতা চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ এধরণের স্লোগান দেন ও তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার পর পার্লামেন্ট থেকে দুই এমপিকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী,
গাজার শান্তি চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন সেখানে মারাত্মক হট্টগোল শুরু হয়। এক আইনপ্রণেতা চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ এধরণের স্লোগান দেন ও তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার পর পার্লামেন্ট থেকে দুই এমপিকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প তাঁর ভাষণের সময় যখন স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করছিলেন, সেই সময় হাদাশ পার্টির নেতা আয়মান ওদেহ ও দলের এক কর্মী ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখেন। এমপিদের বের করে দেওয়ার পর ওদেহ বলেন, তিনি সবচেয়ে মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেও সম্মত— অর্থাৎ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও স্বীকৃতি। এই ঘটনার জন্য সংসদ স্পিকার আমির ওহানা ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দয়া করে, এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিন, মি. প্রেসিডেন্ট।’ এরই মাঝে, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের সাথে থাকা এমপিদের পার্লামেন্ট চত্বর থেকে বের করে দেন, এ সময় ট্রাম্পকে বলতে শোনা গেছে, কর্মকর্তাদের কাজ ‘খুবই দক্ষ’। এই কথায় উপস্থিত অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হেসে ওঠেন। এছাড়া, নিজের ভাষণে ওদেহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেসেটে ভণ্ডামির মাত্রা অসহনীয়।’ তিনি আরো বলেন, অসাধু তোষামোদের মাধ্যমে নেতানিয়াহু ও তার সরকারকে উচ্চপদে বসানোর মাধ্যমে গাজায় ঘটমান মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে না। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি এবং হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহতের দায়ও এড়ানো সম্ভব নয়।