জাতীয় নির্বাচন আসন্ন থাকলেও এখনো পর্যন্ত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বা সবার জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা নেই—এমনটাই অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদেরও দোষারোপ করেছেন। গতকাল শুক্রবার, জুমার নামাজের পর ঢাকাস্থ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে অনুষ্ঠিত গণমিছিলের আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি প্রশাসনের
জাতীয় নির্বাচন আসন্ন থাকলেও এখনো পর্যন্ত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বা সবার জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা নেই—এমনটাই অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদেরও দোষারোপ করেছেন। গতকাল শুক্রবার, জুমার নামাজের পর ঢাকাস্থ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে অনুষ্ঠিত গণমিছিলের আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই কর্মসূচি আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কিছু বিশেষ দলের প্রতি দুর্বলতা দেখানো, প্রশাসনে কিছু পছন্দের ব্যক্তিকে বেছে বেছে পদায়ন করা এবং নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার পাশবিক চেষ্টা চলমান রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওসি, ডিসি, ইউএনও, আমলা এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যেও অনেকের ভূমিকা এখনো জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেনি। তবে তিনি কোন কোন উপদেষ্ঠার উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ, সেটি স্পষ্ট করেননি।
তিনি যোগ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব দল যেন সমান সুযোগ পায়, এর জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন। গোলাম পরওয়ার বলেণ, জনগণ এখন পিআর পদ্ধতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মত দিচ্ছে। এই পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মতমত থাকলেও, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, এবং এতে অবজ্ঞা করা ঠিক নয়।
আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের আগে বৈঠক ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেসব সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেগুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে, জনগণের মতামত অনুযায়ী পিআর পদ্ধতি চালুরও দাবি জানানো হয়। যদি জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দেয়, তবে সেটাকেই স্বীকৃতি দেয়া হবে। বিপরীতে মত থাকলে, জামায়াত এই দাবি থেকে সরে আসবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
অর্থাৎ, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক উদ্যোগের জন্য জামায়াত ছাড় দেয়ার ঘোষণা দেন গোলাম পরওয়ার। তিনি আরও বলেন, ৭৫ সালে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্বপ্ন পূরণের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যাতে কোনো ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়। এই অঙ্গীকারই মূল লক্ষ্য, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ আরো সুন্দর ও সুখী হয়।