সুদানের এল-ফাশের শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে সম্প্রতি আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একটি ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই মসজিদে যুদ্ধের কারণে বহু বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সময় উত্তর দিক
সুদানের এল-ফাশের শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে সম্প্রতি আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একটি ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই মসজিদে যুদ্ধের কারণে বহু বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সময় উত্তর দিক থেকে এক বোমা হামলা চালানো হয়, যার ফলে মসজিদের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। হতাহতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সেইসব পরিবার, যারা যুদ্ধের কারণে আশ্রয় নিয়েছিল। তিনি আরও জানান, এই হামলার পর স্থানীয় লোকজন ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন এবং তাদের দাফন করেছেন।
এফিপির রিপোর্টে আরও জানানো হয়, এই হামলা এল-ফাশের শহরে এই বছর এপ্রিলের পর থেকে সবচেয়ে বড় হামলা। এর আগে গত মাসে আরএসএফ এক ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, আরএসএফ এভাবে আক্রমণ চালিয়ে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে, বিশেষ করে তারা আবু শৌক শরণার্থী শিবিরকে দখল করার পর থেকে এ ধরনের হামলা ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়ে গেছে।
স্থানীয় একটি বাসিন্দা উল্লেখ করেন, বুধবার বিকালে বোমা হামলার মধ্যে পড়ে শহরটি ধুঁকতে শুরু করে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কিছু হামলা চলমান রয়েছে, যেখানে প্রতিদিনই আর্টিলারি ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে শত শত লোকে প্রাণ হারিয়েছে এবং মিলিয়ে বিশাল জনসংখ্যা উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যে জানা যায়, এই সংঘাতে মোট প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্যসংকটে পড়েছে, আর লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি এড়িয়ে পালিয়েছে।
এল-ফাশ, যা উত্তর দারফুর প্রদেশের রাজধানী, গত বছরের মে মাস থেকে এই দীর্ঘ যুদ্ধের অবরোধে পড়েছে। বর্তমানে এটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ বড় শহর। ধীরে ধীরে সৈন্য ও তাদের মিত্রদের আধিপত্য বৃদ্ধি পেলেও শহরটির মূল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ কমে আসছে, পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে উঠেছে।